সিংগাইরে মৃত ভাই সেঁজে ধরা খেয়ে সৎভাইয়ের দায় স্বীকার!

২০ বছর আগে মৃত সৎ ভাই সুবন সেঁজে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন জীবিত নাহিদ হাসান। গণমাধ্যমে ভূয়া তথ্য- উপাত্ত উপস্থাপন করে নিজেকে সুবন পরিচয় দিয়ে মৃত ভাইয়ের নামে লেখা জমি নিজের বলে দাবি করেন নাহিদ। এ নিয়ে বেশ কিছু ভূয়া কাগজ পত্র তৈরিও করেন তিনি। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না ,নিজের পাতানো জালে ফেঁসে যান নাহিদ ।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর আটিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নাহিদ তার প্রতারণার দায় স্বীকার করেন। নিজ হাতে লিখে দেন অঙ্গীকারনামা। অন্যের প্ররোচনায় নাম পরিবর্তন করে গনমাধ্যমকে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি । এ সময় তার মা নাজমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। নাহিদ ওই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে রোববার (১৪ জুলাই) মিথ্যা তথ্য ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে স্হানীয় নারী ইউপি সদস্য রোজিনা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জাতীয় পরিচয় পত্র, স্কুল সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনে তার নাম নাহিদ হাসান হলেও জাল -জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেকে মৃত সৎ ভাই সুবন বেপারি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে নাহিদ তার জাতীয় পরিচয় পত্র এডিট করে শোভন নামে ওই কাগজ দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে নেন।

৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো.আবুল কালাম আজাদ জানান, নাহিদের বাবা সিরাজ উদ্দিন তার প্রথম স্ত্রী মারা গেলে ছেলে সুবনের নামে ২৭ শতাংশ জমি লিখে দেন। ২০ বছর আগে সে মারা যায়। মৃত সুবনের ওই জমি আত্নসাতের জন্য সৎ ভাই নাহিদ হাসান এমন জালিয়াতির পথ বেছে নেয়।

এ ব্যাপারে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.শওকত হোসেন বাদল বলেন, নাহিদ জালিয়াতির কথা স্বীকার করে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সে মৃত সুবন বেপারীর সৎ ভাই। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা জানান তিনি।