সিংগাইরে সেই ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

গর্ভকালীন ভাতা কার্ড দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার রেশ না কাটতেই এবার স্কুলে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে সেই ইউপি সচিব সেলিমের মোল্লার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সচিব সেলিম মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে কর্মরত।

জানা গেছে, উপজেলার গোলাইডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর আয় ১% হতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইউপি সচিব সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে।

গোলাইডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান সোমবার ( ১০ জুন) অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পটি পাশ করার জন্য বাস্তবায়নের আগেই সচিব সাহেব আমার কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সরকারি বরাদ্দের ১ লাখ টাকার মধ্যে তিনি আমাকে নগদ ৪০ হাজার টাকা দিতে চান। এতে আমি অস্বীকৃতি জানালে ১ কয়েল তার, ১ টি কর্ডলেস সেট, ১৬০ ওয়াটের মাইক সেট ১টি ও ৫ টি সাউন্ডবক্স উনারা ক্রয় করে দেন। যার বাজার মূল্য ৬১ হাজার টাকা। বাকি টাকা ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা আত্মসাত করেন।

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, এ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি জানতে চাইলে ওই সচিব আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় আমি মর্মাহত। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য খালেক চৌধুরী বলেন,লাখ টাকার প্রকল্পে ৬১ হাজার টাকা, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন তিনি । এর আগে সুজন টিকাদার নামের ভুক্তভোগী সচিব সেলিম মোল্লা ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর গর্ভকালীন ভাতা কার্ড দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। যা গত ২২ মে ” অর্থ দিয়ে ও মেলেনি গর্ভকালীন ভাতা কার্ড “সিংগাইরে ইউপি সচিব ও মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ” শিরোনামে অনলাইন পোর্টাল আওয়ার নিউজ বিডি ডটনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্তকাজ চলমান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

স্হাবর সম্পত্তির হস্তান্তর আয় ১% বরাদ্দে শ্রেনী কক্ষে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন প্রকল্পের সভাপতি ও ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলমগীর হোসাইন বলেন, আমাকে শুধু সভাপতি বানিয়েই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব অভিযুক্ত সেলিম মোল্লা টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন,এটা চেয়ারম্যান -মেম্বারের কাজ, তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম প্রকল্পে অনিয়ম – দূর্নীতি করে থাকলে সচিবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আগের অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রমের সঙ্গে এটাও যুক্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।