‘সিনহার দুর্নীতির বিচার আইনের নিজস্ব গতিতে চলবে’
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজের পদের সম্মান ধরে রাখতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, এস কে সিনহার দুর্নীতির বিচার আইনের নিজস্ব গতিতে চলবে।
জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
তিনি বলেন, “ল’ উইল টেক ইটস ওউন কোর্স। আর কিছু বললে তো বলবেন, বেশি বলি। আবার না বললে বলবেন কম বলি।”
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে সিনহাকে আমরা প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি নিজের পদের সম্মান ধরে রাখতে পারেননি।
তিনি বলেন, কারোর মুখাপেক্ষী হয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না। জনগণই আওয়ামী লীগের বড় শক্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশা করি আগামী নির্বাচনে সব দল আসবে। কোনো দল যদি না আসে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। দলীয় সিদ্ধান্তে কেউ নির্বাচনে না আসলে সরকারের কিছু করার নেই।
রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন রাজনৈতিক জোট হচ্ছে এতে আমি খুশী। প্রয়োজনে সহযোগিতা লাগবে করবো। তাই ঐক্য নিয়ে কোনো ভয় নেই, এটা নির্বাচনের জন্য ভালো। জনগণ ভোট দিলে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে সুন্দর পরিবেশ থাকা সত্বেও কেন আমাদের পদত্যাগ করতে হবে? কিছু লোক আছে দেশের উন্নতি হয়, জনগণ ভালো থাক অনেকের পছন্দ হয় না।
তিনি বলেন, ১০ বছরে ক্ষমতায় থেকে আমরা অন্যায়টা কি করেছি? যে আমাদের পদত্যাগ করতে হবে। সরকারকে ফেলে দিতে হবে।
তিনি বলেন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে যারা সংবাদ প্রচার করবে না তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে। কেউ তথ্য দিলে তার সত্যতা তাকে প্রমাণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কেউ পরামর্শও দেয়নি। বরং উৎসাহ পেয়েছি। যেসকল রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের সাথে কথা হয়েছে, তারা চায় আমরা আবার নির্বাচিত হই, ক্ষমতায় আসি। আমি তাদেরকে বলেছি, জনগণ ভোট দিলে আছি না দিলে নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ৬ হাজারেরও বেশি নির্বাচন হয়েছে। কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিন দফা সুপারিশ দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
শেখ হাসিনা গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন।
তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে সোমবার সকালে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন