সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সরকারি স্কুলের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোকলেছুর রহমান জানান, শনিবার থেকে বিদ্যালয় মাঠের গাছগুলো কাটা শুরু হয়। ইতোমধ্যে ২৬-২৭টি ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
“১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার দুই থেকে তিন বছর পর গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হয় ২০১৩ সালে।”
প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর রহমান বলেন, “সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বেলালের দাবী, স্কুলটি তাদের পারিবারিক জায়গাতে হওয়ায় তার নির্দেশেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। আমরা অনুরোধ করলেও তিনি তা মানেননি।”
সাইফুল ইসলাম বেলাল বলেন, “প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ৯ শতক এবং আমাদের পরিবারের রেকর্ডকৃত ২৩ শতকসহ মোট ৩২ শতক জায়গায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ২৩ শতক জায়গা এখনও দলিল করে নেয়নি। আমার বড় ভাই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তাই আমরা ওই সম্পত্তি নিয়ে কোনো আপত্তি করিনি। কিন্তু ভাই মারা গেছেন।
“এখন আমরা ওই সম্পত্তির অর্ধেক অংশে স্থাপনা করব, তাই গাছগুলো কাটা হচ্ছে।”
তার ভাষ্য, স্কুল কর্তৃপক্ষ আগেই জায়গাটা নিজেদের নামে দলিল করে নিলে আজ এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
কাজিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, “সরকারি স্কুলের গাছ কাটা আইনসম্মত নয়। ঘটনাটি জানার পরই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, “বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের সময় জায়গার দলিলের প্রসঙ্গটি হয়তো গোপন করা হয়েছিল। গাছ কাটার বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।”
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইউএনও জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন