সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এ্যাম্বুলেন্সই বিকল
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/12/News-Photo-2.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি এ্যাম্বুলেন্সই ছয় মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে করে রোগী ও তাদের স্বজনেরা বিপাকে পড়েছেন। এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট থাকায় এ্যাম্বুলেন্স চালকও বদলী হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এতে মুমূর্ষূ রোগীদের যথা সময়ে জেলা সদরে অথবা পার্শ্ববর্তী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া দুটি এ্যাম্বুলেন্স প্রথম দিকে ভালোই চলছিল। করোনাকালীন সময় একটি এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বিকল হয়ে যায়। অন্যটি ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে মাঝে মাঝেই অচল হয়ে যেতো। গত ছয় মাস ধরে সেটিও সম্পূর্ণ রূপে বিকল।
জানা গেছে, একটি এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাজনিত কারণে ও অন্যটি যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে বিগত ছয় মাস ধরে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায় চালক আব্দুল মোমিনও গত ১৪ অক্টোবর বদলী হয়ে পার্শ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে গেছেন। এ কারণে মুমূর্ষু রোগীর আত্মীয় স্বজনকে নির্ভর করতে হচ্ছে ভাড়ায় চালিত এ্যাম্বুলেন্স এর ওপর। সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসেবে জেলা সদরে পৌঁচ্ছাতে লাগতো তিনশ টাকা। সেখানে বেসরকারি ভাড়ায় চালিত এ্যাম্বুলেন্স এর ভাড়া গুণতে হয় দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকা। আবার গর্ভবতী মাকে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে সরকারি খরচে বহন করা হতো। কিন্তু তাদেরকেও সম্পূর্ণ ভাড়ার টাকা বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে।
উপজেলার চকজয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বসিন্দা আদাব আলী জানান, এক সপ্তাহ আগে তার এক নিকট আত্মীয় হার্টের সমস্যা নিয়ে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। কিন্তু সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দুটি এ্যাম্বুলেন্সেই বিকল। তখন বাধ্য হয়ে ভাড়ায় চালিত এ্যাম্বুলেন্সে চার হাজার টাকায় বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোনোয়ার হোসেন বলেন, বিকল এ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি তারা সমস্যার সমাধান করবেন।
রায়গঞ্জ-তাড়াশ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি কথা বলেছেন। শীঘ্রই এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হবে।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন