সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিধবা ভাতার টাকা স্কুল শিক্ষকের পকেটে

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিধবার ভাতার কার্ড থেকে ৫ হাজার টাকা ভাগ নেওয়া অভিযোগ উঠেছে আবু জার নামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আবু জার বেলকুচি উপজেলার ১১৩ নং কোনাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।

তিনি কোনাবাড়ি গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার স্ত্রীর বিধবা কার্ড করে দেবার পর প্রাপ্ত টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী ওই নারী।

ভুক্তভোগী নূরজাহান বেগম জানান, আমার বয়স হয়েছে। কোন কাম কাজ করতে পারি না। পরিবারের অবস্থাও ভালো না। অনেক দিন হলো বয়স্ক ভাতা করার জন্য উপজেলায় গিয়ে ঘুরলাম কিন্তু কোন কাজ হয় না। শেষ মেষ আবু জার মাষ্টার আমাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন। কিন্তু যখন ভাতা পাই তা থেকে সে আমার কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। প্রথমে টাকা দিতে রাজি না হলেও আমি তাকে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কোনদিন এ ধরনের কাজ করনি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে আমি এই কাজ করেছি তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেব।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার জানান, আমিও লোক মুখে এ রকম কথা শুনেছি। তবে একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে তার এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

এ বিষয় কোনাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্ আলম মোল্লা জানান, উনি আমার স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক। আমার জানা মতে তিনি এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত নন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষ বলেন, সুবিধাভোগীরা বিধবা ভাতার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করে থাকে। তাই কোন সুবিধাভোগীর কাজ থেকে কেউ ভাতার টাকা নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না।