সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের উপর হামলা ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ!

সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী) আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের (ঈগল মার্কা) সমর্থক সুমন হিটলার (৩২) উপর হামলা ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের নৌকা সমর্থিত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বেলকুচি পৌর এলাকার মুকুন্দগাঁতীস্থ কলেজ মোড় কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সুমন হিটলার আহত ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। সুমন হিটলার মুুকুন্দগাঁতি গ্রামের হাজী সাইদুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বেলকুচি পৌর এলাকার কলেজ মোড় কড়ইতলা এলাকায় হঠাৎ নৌকার সমর্থক ছাত্র লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে একটি দল স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ সময় ঈগল প্রতীকের সমর্থক সুমন হিটলার মোটর সাইকেল নিয়ে ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় হামলা কারিরা সুমনের মোটর সাইকেলটি ভাঙচুর করে এবং লাঠি দিয়ে তাঁর শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আহত সুমন হিটলার জানান, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল পাখি মার্কার নির্বাচন করার কারণে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবসহ কয়েকজন এসে আমার উপর হামলা চালায়। তার আগে কড়ই তলা এলাকার ঈগল পাখির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে তারা।

অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, সুমনসহ কয়েকজন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের সমর্থক আলমাছকে নৌকার নির্বাচন করায় হুমকি দিয়েছিল। তাই কড়ই তলা তাকে ডাকলে হালকা ধস্তাধস্তি হয়েছে। তবে তিনি ঈগল পাখির নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এদিকে নির্বাচনী মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী পর্যবেক্ষক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট শিবানী সরকার জানান, আমরা মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাননি বলেও জানান তিনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন ওখানকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সেখানে কোন প্রকার যেন অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয়, সেই জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।