সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বাক্ষর ও সীল জাল করে দলিলের সার্টিফাইড কপি সরবরাহের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সাব-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও সীল জাল করে দলিলের সার্টিফাইড কপি সরবরাহের করার অভিযোগ উঠেছে দলিল লেখক আমিনুল ফকিরের বিরুদ্ধে। তিনি বেলকুচি উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাংস্কৃতিক বিয়ষক সম্পাদক। আমিনুল ফকির দীর্ঘদিন ধরে দলিলের সার্টিফাইড কপি জালসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি করে আসছেন।

জানা যায়, উপজেলার নাগগাঁতী গ্রামের সঞ্চিতা রানী ৩ বছর পূর্বে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমির দলিল প্রস্তুুত করেন দলিল লেখক আমিনুল ফকিরের মাধ্যমে। জমির রেজিস্ট্রি হওয়ার পর জমির কাগজপত্র সঞ্চিতা রানীকে দেন। সেই সাথে জমির দলিলের সার্টিফাইড কপিও দেন, কিন্তু জমির নামজারি করতে গেলে জানা যায় দলিলের সার্টিফাইড কপি জাল করা হয়েছে।

জমি গ্রহীতা সঞ্চিতা রানী জানান, আমার জায়গার দলিল প্রস্তুুত করার কাজে সহযোগিতা করেন দলিল লেখক আমিনুল ফকির। রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে আমিনুল ফকির আমাকে দলিলের নকল তুলে দেন। কিন্তু নামজারি করতে গেলে জানতে পারি নকল দলিলের উপর সীল ও স্বাক্ষর জাল। এ বিষয়টি জানাজানি হলে আমিনুল ফকির আমাকে ডেকে নিয়ে আসে দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে। সেখানে একটা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষরটা কি কারণে নিয়েছে সেটা বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে দলিলের সার্টিফাইড কপি জাল করার বিষয়ে দলিল লেখক আমিনুল ফকিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ ধরনের কাজ করিনি। এটা চক্রান্ত করে আমাকে হয়তো ফাঁসানো হচ্ছে।

উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, এই ধরনের জালিয়াতি বড় ধরনের অপরাধ। তদন্ত ছাড়া কাউকে অপরাধী বলাও ঠিক হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে জাল জালিয়াতি প্রমানিত হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান বলেন, দাখিলকৃত জমির দলিলের সার্টিফাইড কপির স্বাক্ষর জালের বিষয়টা আমি জানতে পেরেছি। এই বিষয়টা আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এব্যাপারে তদন্ত টিম গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।