সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হয়রানি ও প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুলদিয়ার গ্রামে ছোট ভাইয়ের মিথ্যা মামলা ও কথিত সাংবাদিক সোহরাওয়ার্দী হোসেনের চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী আলীমের পরিবার।
সোমবার সকালে উপজেলার ধুলদিয়ার গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল আলীম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালে আমার স্ত্রী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বারে প্রার্থী হওয়ার পর আমার ছোট ভাই বুদ্দু সরকার তার স্ত্রীকে প্রার্থী করেন। তার স্ত্রীকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য আমার নিকট থেকে চাঁদা দাবি করেন। পরে আমি চাঁদা না দেয়ায় আমার স্ত্রী যখন ভোটের মাধ্যমে মেম্বার নির্বাচিত হয়। তার কিছু দিন পরে সুকৌশলে আমার ঘরে অস্ত্র দিয়ে আমার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করান। পরে আমার স্ত্রীকে ছাঁড়ানোর জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করলে আমি পরে আড়াই লাখ টাকা দেই। তারপরও আমার স্ত্রী জেল হাজত থেকে ছাড়া পায়নি।

তিনি আরও বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে আমার ভাই বুদ্দু সরকার নির্বাচন করে দেবে বলে আমার নিকট থেকে একটা বাইক আর প্রতিদিনের জন্য খরচ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি অস্বীকৃতি জানাই। আমি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আমার ভাই বুদ্দু সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য থানায় অভিযোগ করেন। পরে স্থানীয় এক কথিত সাংবাদিক থানার অভিযোগের ভিত্তিতে আমার নিকট নিউজ করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে, তার কিছু দিন পর আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে একটা পত্রিকা ও ২৫ হাজার টাকা দাবি করে চিরকুট লিখে রেখে যান। পরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে তা ধরা পরে। ওই কথিত সাংবাদিক আমাকে হয়রানি করার জন্য থানায় মিথ্যা জিডি করেন। আমাকেসহ আমার পরিবারকে মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করছে প্রতিনিয়ত। তাদের অত্যাচারে আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। গণ মাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি। এতে আমরা শারীরিক, মানসিক, আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি থেকে রক্ষায় আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সংবাদ সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আলীমের স্ত্রী রেবা খাতুন, পিতা পাশু সরকার, ছেলে রকিবুল ইসলাম রকি, বড় ভাই সোহরাওয়ার্দী সরকার।

এ বিষয়ে বুদ্দু সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, আমি তার বিরুদ্ধে নিউজের পত্রিকা দিতে গিয়ে ছিলাম। অন্য কোন চিরকুট বা কোন টাকা দাবি করি নাই।