সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়ম
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে উপহার স্বরূপ “ভিজিএফ এর চাউল নিয়ে কেউ নয় ছয় করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা”। এই কথাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নে সরকারের বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ভিজিএফ এর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে।
গত সোমবার (২৫ এপ্রিল ) দিনব্যাপী গালা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ বাতেন এর সার্বিক তত্বাবধানে এই চাউল বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ বাতেন এর নেতৃত্বে ও সার্বিক দিকনির্দেশনায় সকল ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত করে অসহায় হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১০কেজি করে বিশেষ বরাদ্দের চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও তা হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ এর পরিবর্তে অধিকাংশ স্বচ্ছল ও একই পরিবারের বিশেষ ব্যাক্তিকে ৪-৫ টি করে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করতে দেখা যায়। আবার একই ব্যাক্তিকে একাধিকবার চাউল নিতেও দেখা যায়। চাউল নিয়ে টিপ দেয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে দেখা যায় অন্য চিত্র। ইউপি সদস্য নিজেই ঢালাওভাবে টিপ দিচ্ছেন প্রকাশ্যে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও মাননীয় এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে মনিটরিং এ দায়িত্বে থাকা সবাই ট্যাগ অফিসারকে বার বার অনিয়মের অভিযোগ দিলেও তিনি তা আমলে নেন নাই। সেইসাথে চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই সফিক লেবার ও কিশোরদের দিয়ে চাউল উত্তোলন করে মজুদ করে রাখেন। যা পরবর্তীতে বেশি টাকায় বিক্রয় করা হবে।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, চেয়ারম্যান এর স্ত্রীর নিকট হইতে তারই চাচাতো ভাই সফিক ৩শতাধিক কার্ড নিয়ে এই জালিয়াতিতে লিপ্ত হয়।
সর্বমোট ২৯৪৯ টি উপকার ভোগী পরিবারের মাঝে এই চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও তা বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে সুবিধা ভোগী পরিবারের মাঝে।
চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহজাদপুর উপজেলা এল জি ই ডি সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভাবেই চাল বিতরণ করা হয়েছে।
চাল বিতরণের সময় মনিটরিং এ দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের কথা থাকলেও তা সুষ্ঠুভাবে বন্টন করা হয়নি।
৫নং গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ বাতেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা বলেন, তাৎক্ষনিক আমার সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে ঘটনা সত্য হলে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।