সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিকদের দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন
সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকান্ডের ৫ম বছর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
এ উপলক্ষে সকালে শাহজাদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় আব্দুল হাকিম শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর শাহজাদপুর প্রেস ক্লাব থেকে শাহজাদপুরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, সংস্কৃতি কর্মী এবং নিহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্বজনদের নিয়ে একটি শোক র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব শাহজাদপুরের সভাপতি আতাউর রহমান পিন্টু, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাংবাদিক হাসানুজ্জামান তুহিন প্রমুখ। বক্তরা বলেন, ‘সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকান্ডের ৫ বছর পার হলেও নানা জটিলতা এবং ঘাতকদের নানা কূটকৌশলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া তো দূরের কথা বিচারকার্যই শুরু হয়নি। এ হত্যা মামলার সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে অবিলম্বে রাজশাহী দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে দ্রæত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা, শাহজাদপুর সমকাল প্রতিনিধি কোরবান আলী লাবলু, সাংবাদিক মুমীদুজ্জামান জাহান, এম এ জাফর লিটন, মোঃ আল আমিন হোসেন, ওমর ফারুক, সাগর বসাক, শামছুর রহমান শিশির, জহুরুল ইসলাম, মাসুদ মোশারফ, মাইটিভি প্রতিনিধি জাকারিয়া মাহমুদ, জেলহক হোসাইন, রাসেল সরকার, আব্দুল কদ্দুস, শাফিকুল ইসলাম পলাশ, নয়ন আলী, আরিফুল ইসলাম, মিলন মাহফুজ, জাহিদ হাসান,মীর্জা হুমায়ন, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি শাহজাদপুরের মণিরামপুরে মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন চিকিৎসার জন্য প্রথমে শিমুলকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য শিমুলকে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে নিহত শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার বাদী হয়ে সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে মেয়র মিরুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে সব আসামি জামিনে রয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন