সিরাজগঞ্জে পুলিশের তদন্তে পানিতে ডুবে মৃত্যু-পিবিআইয়ের তদন্তে হত্যা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ২০২২ সালে মনির হোসেন মনি (১৯) মৃত্যুর ঘটনার আসল রহস্য বের করলো সিরাজগঞ্জ পিবিআই পুলিশ।
মৃত্যুর ৯ মাস পর তদন্তে বেড়িয়ে এলো এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা। এর আগে মনির বাবা হারুন- আর-রশিদের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে এটাকে আত্মহত্যা বলে দাবী করেছিলো। এ তদন্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে বাদীর নারাজির পর মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে গত ১৩ই আগষ্ট আসামীদের গ্রেফতার করার পর তাদের দুই জন এ হত্যার দায় শিকার করে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকলে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
তিনি জানান, গত বছর ১০ নভেম্বর তারিখে দুপুরে মনির হোসেন তার নিজ বাড়ি শাহজাদপুর উপজেলায় রূপপুর গ্রাম থেকে বের হয়। এর পর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে ১২ নভেম্বর তারিখে করতোয়া নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে মনির বাবা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে।
এই রিপোর্টের পক্ষে বাদী নারাজি দিলে মামলাটি আমাদের হাতে তদন্তের ভার আসে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করেতে গিয়ে দেখতে পাই পানিতে ডুবে মৃত্য হলেও মৃতের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ও ঘটনার দিনের তথ্য সংগ্রহ করে আমরা গত ১৩ আগষ্ট শাহজাদপুর উপজেলায় রূপপুর গ্রামের মৃত হাফিজের ছেলে আব্দুল কাদের ও একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মাহাবুব হাসান রিমন (২৫) কে আটক করা হয়।
পরে তারা হত্যার দায় শিকার করে বলে, তারা দুই জনসহ আরো দুইজন ঘটনার দিন এক সাথে মাদক সেবন করার পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনিরের মুখে, বুকে ও মাথায় কিল ঘুষি মেরে এক পর্যায়ে মনির নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে ঘটনা অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেই।
পুলিশ সুপার বলেন, ১৬ আগস্ট আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। বাকি আসামীদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন