সিরিয়ায় বিমান হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় নিহত ১৩৬
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পূর্বাঞ্চলে ঘোওটা শহরে গত ৪৮ ঘণ্টায় রুশ ও সিরীয় সরকারি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য।
আলজাজিরা বলছে, সোমবার বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত হন। একই দিনে আরো ৮০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বুধবার দুই দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর হামলায় আরো ২৬ জনের প্রাণ গেছে। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২২ শিশু ও ২১ নারী রয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের শহর ঘোওটা। মঙ্গলবার সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুনে গত বছরের এপ্রিলের রাসায়নিক হামলার পর সিরিয়ায় সর্বোচ্চ গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের ওই রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়।
পূর্বাঞ্চলের ঘোওটা শহরটি রাজধানী দামেস্কের কাছে অবস্থিত; যেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের আবাস রয়েছে। শহরটি সিরীয় সরকার ও আসাদের প্রধান মিত্র রাশিয়ার হামলার মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে ঘোওটা অবরুদ্ধ করে রেখেছে আসাদের বাহিনী। বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে হটাতে শহরটিতে সিরীয় সামরিক বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তখন থেকেই চার লাখ মানুষের এ শহরটিতে বোমাবর্ষণ চলছে। সিরীয় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী এ অঞ্চলে সম্প্রতি বিমান হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘোওটার স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মী আবু সালেম অাল-শামি বলেন, ‘বাইরের লোকজন ভাবছেন, রাশিয়া এবং সিরীয় শাসকেরা সশস্ত্র যোদ্ধাদের হত্যা করছে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুধুমাত্র বেসামরিকরা, সাধারণ জনগণ, দামেস্কের সাধারণ মানুষ লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন।’
গত এপ্রিলে ঘোওটায় বিমান হামলায় পরিবারের ১০ সদস্যকে হারিয়েছেন এ মানবাধিকার কর্মী। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, গত ডিসেম্বরের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত ঘোওটায় ৯১ শিশু ও ৬৮ নারীসহ অন্তত ৩৬৯ জন নিহত হয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন