সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সিলেটের অভাবনীয় উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিলেটের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্নের জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সিলেটের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে। সিলেটবাসীর জন্য এটি অত্যন্ত খুশির বিষয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজও শুরু হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, প্রায় শত বছর পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন তিনগুণ বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-সিলেট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ রেললাইনে রূপান্তর ও সিলেটের রেললাইনের ডুয়েলগেজ নির্মাণের কাজটি তাড়াতাড়ি শুরু করলে অর্থনীতি আরও উপকৃত হবে।
‘সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে বন্যা হয়েছে। পানি আমাদের দেশের সম্পদ। এবারের বন্যা আমাদেরকে অন্যরকম শিক্ষা দিয়ে গেল। এখন থেকে প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করতে পারলে এটি ভবিষ্যতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে- উল্লেখ করে তিনি সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সকল নদ-নদীর নাব্যতা সৃষ্টির জন্য ড্রেজিংসহ নদী তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকরণে গৃহীত প্রকল্পের কাজ যথাসময় বাস্তবায়নের আহবান জানান। ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করায় তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কেও ধন্যবাদ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিছুদিন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষা করে এই কারাগারটাকে বঙ্গবন্ধু পার্ক নির্মাণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আহ্বান জানান। শিক্ষা ক্ষেত্রে সিলেট এখনও পিছিয়ে আছে উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ড. মোমেন আহ্বান জানান। তিনি সিলেট এয়ারপোর্ট ও চৌকিদিঘীর চারিদিকে ৫ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্যও অনুরোধ জানান।
সিলেটের কৃতি সন্তান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের বড় ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আমার বড় ভাই মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত-এর আকাঙ্খা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে সেটা বাস্তবায়নেরও অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশে নানাক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত ও টেকসই করে রাখতে হলে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বিক কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর জোর দিচ্ছে যাতে কোনো ধরনের উন্মাদনা বা সন্ত্রাসী তৎপরতা অথবা আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংসের জন্যে বহুবিধ উদ্যোগ নিয়েছে, এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে আহবান জানান মন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন