সিলেটের গোলাপগঞ্জে গৃহবধুকে গণধর্ষণ, আটক -২

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকাদক্ষিণে স্বামী বাড়ি ফেরার পথে এক গৃহবধূ গণর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্বামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

রোববার (২ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ কতৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাপগঞ্জ সার্কেল স্বজল কুমার সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বাবার বাড়ি সিলেট নগরীর কদমতলী এলাকা থেকে স্বামীর বাড়ি ঢাকাদক্ষিণের উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিকশা যোগে রওয়ানা দেন গণধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী গৃহবধূ। বাড়িতে এসে স্বামীকে না পেয়ে পুনরায় ওই সিএনজি অটোরিকশায় সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্বামীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নাদির আহমদ ও তার এক সহযোগী গোলাপগঞ্জ পৌরসভার টিকরবাড়ি এলাকায় নাদির আহমদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন ওই গৃহবধূকে।

পুলিশ জানায়, ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে নাদির আহমদের বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে রাত ভর জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামি নাদির। পরবর্তীতে ফজরের আজানের পর রাত সাড়ে ৪টার দিকে নাদির আহমদ ওই গৃহবধূকে পৌর শহরের চৌমুহনীতে আদিল মার্কেটে তার সহযোগী ছালিক আহমদের কাছে নিয়ে আসে। আদিল মার্কেটের ২য় তলায় নাদির আহমদ ও ছালিক আহমদ দুজনে মিলে ওই গৃহবধূকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি কাউকে না বলার শর্তে আসামিরা ওই গৃহবধূকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়।

এঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং: ০১/২৪, তাং: ১/৬/২০২৪ইং) দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার কৃত আসামিরা হলো- পৌরসভার টিকরবাড়ি এলাকার মৃত মফিক মিয়ার ছেলে নাদির আহমদ (২৩) ও আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের মৃত লবিবুর রহমানের ছেলে ছালিক আহমদ (৪০)। নাদির আহমদ সিএনজি অটোরিকশা চালক ও ছালিক আহমদ আদিল মার্কেটের নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন।

গোলাপগঞ্জ- ফেঞ্চুগঞ্জ সার্কেল স্বজল কুমার সরকার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি আসামি ছালিক আহমদ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বীকার করে।