সিলেটের গোলাপগঞ্জ বাদেপাশা খাগাইলে সেলিমের মৃত্যুর রহস্য পরিবারে কাছে অধরা
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামের সেলিম উদ্দিনের রহস্যজনক মৃত্যুর প্রায় ৩ বছর,কিন্তু আজও পরিবারের কাছে তার মৃত্যুও রহস্য অধরা থেকে গেছে।
বুধবার (১৪ জুন) ২০২১ সালে ভোর ৫ টার দিকে সেলিম উদ্দিনের পাশের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন দ্বিতল ভবনের বাইরের অংশে ছাদের সাথে তাঁর লাশ ঝুলতে দেখতে পান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে সকাল ১০টায় থানা ও কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। প্রাথমিক ভাবে তখন ধারনা করা হয় তাকে যে কেউ হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে ছিলো।
নিহত যুবকের নাম সেলিম উদ্দিন (৫১) তিনি পশ্চিম খাগাইল গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে।
সেই সময় উদ্ধার হওয়া সেলিম উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে নিহত সেলিমের ভাই নাজিম উদ্দিন জানান, সেলিম পেশায় রাজমিস্ত্রী। পাশাপাশি খাগাইল গ্রামের আখলুছ হাজীর বাড়িতে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করতেন। বেশ কিছু দিন থেকে একটি মহল প্রবাসী আখলুছ হাজীর বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে তাকে সরে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে ৩/৪দিন আগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তিনি সেই দায়িত্ব থেকে সরে আসেন। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়লেও একটি মহল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই আতঙ্কে তিনি রাস্তাঘাট ও বাজারে যাওয়া বাদ দিয়ে দেন।
তিনি হত্যার ভয়ে বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বণগাওয়ে শশুড়বাড়ি গিয়ে রাত্রীযাপন করতেন প্রায়ই। ঘটনার আগের দিন তার মেয়ের অসুস্থার খবর পেয়ে নিজ বাড়িতে আসেন। ওই দিন ভোরে বাড়ি থেকে কে কারা ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার স্থানীয়রা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান একটি দ্বীতল নির্মাণাধীন ভবনে।
ঘটনার খবর পেয়ে সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) রাশেদুল হক চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও ওসি (তদন্ত) সুশংকর পাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আমাদের প্রতিবেদকের নিকট অভিযোগ করেন নিহতের ছোট ভাই নাজিম উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই রাতে আমার কাছ থেকে তাদের লিখা কাগজে একটি লিখিত স্বাক্ষর নেয় এরপর দেখি আমার ভাইয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে অপমৃত্যু মামলা থানায় রেকড করা হয়। তিনিও আরও অভিযোগ করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে আমি লাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ও মানসিক অবস্থা খারাপ থাকায় কি স্বাক্ষর দিয়েছি বুঝে উঠতে পারিনি, কিন্তু তারপরও বার বার ওই লিখা কাগজে স্বাক্ষর দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি, তখন পুলিশ আমাকে শান্তনা দিয়েছে যে আপনি যে লাশ গ্রহণ করবেন তার একটি প্রমাণ থানায় রেখেছি। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে পরবর্তীতে মোট অংকের বিনিময়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহত সেলিম উদ্দিনের ১ ছেলে ১ মেয়ের স্ত্রী সহ আত্মীয় স্বজনের কাছে তার মৃত্যুর রহস্য আজও অধরা থেকে গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন