সিলেটের চা বাগান গুলো প্রুনিং পদ্ধতি শুরু

সিলেটের চা বাগানগুলোতে সবুজ সমারোহ সৌন্দর্যের ফিরতে আনতে বাগান কর্তৃপক্ষ প্রুনিং পদ্ধতি চালু করাছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর সিলেটের লাক্কাতুরা, এয়ারপোর্ট, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জের সব কটি চা বাগানগুলোতে প্রুপিংয়ের কার্যক্রম চালু করেছেন।

গাছকে দীর্ঘস্থায়ী ও সতেজ রাখতে চা গাছের ছাঁটাই পদ্ধতিকে প্রুনিং বলা হয়। সিলেট-মৌলভীবাজার হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে সব চা বাগানে এ মৌসুমে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন চা বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, চা গাছে কচি পাতার উৎপাদন বাড়ানো ও গাছকে সুস্থ রাখতে প্রুনিং কাজে ব্যস্ত চা শ্রমিকরা।

বছর শেষে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রতিটি বাগানের চা গাছে পাতা উৎপাদন সক্ষমতা কমে আসে। তাই নতুন বছরের শুরুতে চায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সিলেট সহ মৌলভীবাজারের সব বাগানে সেকশন জুড়ে শুরু হয়েছে প্রুনিং।

প্রতি বছর মার্চের শুরু থেকে প্রায় ৯ মাস চা উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু থাকলেও ডিসেম্বরে এসে তা বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক এই সময় জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাগানগুলোতে চায়ের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ছাঁটাই কাজ করা হয়।

এরপর গাছের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে সার প্রয়োগ করা হয়। পরে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছ সতেজ হয়ে কচি পাতায় ভরে ওঠে। নিয়ম অনুযায়ী মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পাতা চয়ন শুরু হবে।