দায়িত্বে চাঁদাবাজ ৫ সাংবাদিক
সিলেটের জাফলং সীমান্তে চোরাচালান ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণকারী সাংবাদিক হুমায়ুন জেলে

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল অবৈধ ব্যবসার লাইনম্যানদের মাধ্যমে চলে চোরাকারবারীদের চোরাচালান ব্যবসা, সীমান্ত এলাকায় ডিউটিতে থাকা বিজিবি সদস্য ও অসাধু পুলিশের সঙ্গে আতত করে ভারত থেকে আসা অবৈধ চিনি, পাথর কোয়ারী থেকে পাথর তোলা সহ বৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করতে সহযোগিতা ও একক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে জাফলংয়ের মাই টিভি প্রতিনিধি সাংবাদিক হুমায়ুন আহমদ।
সম্প্রতি জৈন্তাপুর উপজেলার এক সাংবাদিকের উপর হত্যার প্রচেষ্টা চালায় হুমায়ুন বাহিনী। ঘটনায় সাংবাদিক হুমায়ুন আহমদকে শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার বংশাল থানাধীন ৭৮/৩সি নাজিম উদ্দিন রোড, চানখারপুল চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তাকের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার জাফলং এলাকার সকল অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রন নেন সিলেটের ভূয়া ৪ সাংবাদিক ও ঢাকার এক পত্রিকার সম্পাদক।
সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইতি পূর্ব থেকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দেওয়াল পত্রিকা জাতীয় দৈনিক বিকেল বার্তার পত্রিকার সম্পাদক বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছেলের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনিক ভাবে সিলেটের জাফলং সহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চিনি কান্ড থেকে শুরু করে ভারতীয় অবৈধ অনেক পণ্যের লাইনম্যান হিসেবে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে মাসিক বখরা হিসেবে লাখ লাখ উত্তোলন করতেন, তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন দৈনিক বিকেল বার্তার সিলেট ব্যুরো চিফ কামরুল হাসান জুলহাস, জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আলিম রাণা, স্টাফ রিপোর্টার লাকি আক্তার ওরফে লাকি আহমেদ।
জানা যায়, সাংবাদিক নামধারী আব্দুল আলিম রাণা পেশায় একজন ছিনতাইকারী, লাকি একজন যুব মহিলালীগের পেশাধার ব্ল্যাকমেইলার, আর কামরুল হাসান জুলহাস পেশায় একজন মলমপার্টির সর্দার। পুরো সিলেট অঞ্চল প্রশাসনিক ভাবে নিয়ন্ত্রন করতেন সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট শহরে আগত আওয়ামীলীগের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এম মান্নানের দুসম্পর্কের আত্মীয় পরিচয়দান কারী নাতি দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার।
জাফলংয়ের সাংবাদিক হুমায়ুন আহমদ জেল হাজতে যাওয়ার পর বর্তমানে ৫ সাংবাদিক গোয়াইঘাট জাফলং, জৈন্তাপুরের সকল অবৈধ চাঁদা উত্তোলন করছেন। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই দৈনিক বিকেল বার্তা পত্রিকার ফেসবুক পেইজ, চ্যানেল ২৬ ও তালাশ টিভি ও দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার ভূয়া প্রকাশ করে নীরিহ মানুষকে নানা ভাবে ভয় ভিতি হওয়রাণীর করে থাকেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ভারত থেকে ভারতীয় মদ, ফেনসিডিলসহ, অস্ত্র, সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্ট মোবাইফোন, চিনি, চা পাতা, কসমেটিক,কিট, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, টি শার্ট, তাদের এই অবৈধ ব্যবসায় বেঘাত না গটার জন্য সীমান্ত এলাকায় ডিউটিতে থাকা বিজিবি সদস্য দের ম্যানেজ করে, চোরাকারবারীদের সহযোগিতা করে, লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ সহ বিভিন্ন অপকর্মের ও অভিযোগ হয়েছে তাদের নামে।
এক সময় সাংবাদিক হুমায়ুন এর কারণে সীমান্তের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলে কথা বলতে পারে না। বর্তমানে এখন ওই সাংবাদিকের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন অনেকে। ওদের রয়েছে বিশাল এক বাহিনী এই বাহিনী সব সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করে ও দেশিয় অস্ত্র হাতে নিযে মহড়া দেয়, এবং তাদের সাথে রয়েছে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। এদের ম্যানেজ করে দিনে ও রাতে ভারত থেকে নিয়ে আসে কুটি কুটি টাকার অবৈধ ভারতীয় পন্য।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন