সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ব্যাপক লুটপাট, ভাঙচুর

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর ঘটনা ঘটেছে। লুট করে নেওয়া হচ্ছে ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা, সিলেটে সিটি কর্পোরেশর আওতায় শেখ হাসিনা পার্ক নগরীর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো।

বছর শেষে সিসিকের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অনুরূপ ভাবে সিলেটের জাফলং, সাদাপথর পর্যটন সিলেটের সৌন্দর বৃদ্ধিতে দেশ বিদেশে পরিচিতি লাভ করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর পর্যটন বাজারের দোকানপাট ফেলুডার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক চক্র সুযোগ বুঝে সোমবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ভোলাগঞ্জ ১০নম্বর এলাকায় পর্যটন বাজারে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।

এ সময় ২/৩টি রেস্টুরেন্টের সকল মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া অন্যান্য সকল দোকানের মালামাল ১ ঘন্টার ভিতর নিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন দোকানীরা তাড়াহুড়ো করে তাদের দোকানের ভিতরে থাকা সকল মালামাল নিয়ে যায়। এতে করে প্রতিটি দোকানের অনেক মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন তাদের প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটন বাজারের জিরো পয়েন্ট, মেঘের বাড়ি, শাহপরান, জয় বাংলা ও সেই স্বাদ রেস্টুরেন্ট ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া ৩/৪টি কসমেটিকসের দোকানও ভাংচুর করা হয়।

মেঘের বাড়ি রেস্টুরেন্টের মালিক সফাত উল্লাহ বলেন, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র আমার মেঘের বাড়ি রেষ্টুরেন্টে কিছু সন্ত্রাসী লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দোকানের ভিতরে থাকা ১টি এসি ৩টি ফ্রিজ ২০০ চেয়ার ২০টি টেবিল ও ২টি জেনারেটরসহ সকল আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে সিসিকের কর্তৃপক্ষ জানান, শেখ হাসিনা পার্ক থেকে দূর্বিত্তরা নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও কম্পিউটার, জরুরী জিনিস পত্র নিয়ে যায়। ভাঙচুর করে বিনোদনের গুরুত্বপূর্ন জিনিস পত্র ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৬ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা।