জাতীয়,স্থানীয় অনলাইন ও প্রিন্ট গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর
সিলেটের পুরকায়স্থ বাজার থেকে নবীন এগ্রো এন্ড বেভারেজ কোম্পানী নিয়ে উধাও
সম্প্রতি সিলেটের বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট সহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট, অনলাইন গণমাধ্যমে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের পুরকায়স্থ বাজারে নবীন এগ্রো এন্ড বেভারেজ কোম্পানী নিয়ে নানা রহস্যেরে ধুম্রজাল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এলাকা ও প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ঝড় উঠে।
এ সংবাদ প্রকাশের দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পুরকায়স্থ বাজারের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে অফিসের সকল আসবাব পত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান নেন প্রতারণা প্রকল্পের পরিচালক। কিন্তু এ কোম্পানীর প্রতারণার অব্যাহত কার্যক্রম এখনও পরিচালনা করে যাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজারের হাজী তালেব আলী ম্যানশনে ও তার নিজ বাড়িতে। উল্লেখ্য যে, গোলাপগঞ্জের পুরকায়স্থ বাজারে প্রধান কার্যালয় ব্যবহার করে সোস্যাল মিডিয়া ও এলাকায় বেশ আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নবীন এগ্রো এন্ড বেভারেজ কোম্পানীর চেয়ারম্যান নাম ধারী মো.আব্দুল কাইয়ুম।
তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এ কোম্পানী গোঠা লক্ষণাবন্দ,ঢাকাদক্ষিণ ইউপি, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা দাসের বাজারে এলাকায় অফিস ও শো-রুম উদ্ভোধন করে কোম্পানীর নানা গুনাগুন নিজের ফেসবুক পেইজে তুলে ধরছেন। আর প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধু মাত্র উঠতি তরুণীদের নিয়ে অফিসে মিটিং করতে দেখা যায়। কখনও এসব তরুণীরা গ্রামগঞ্জ থেকে অধিক মোনাফার লাভ দেখিয়ে গ্রামের গরীব ও অশিক্ষিত নারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদী একটি মাইক্রো ক্রেডিট একাউন্ট খুলে ছোট,বড়,মাঝারী ইভেস্টা করে নিচ্ছেন। তবে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে তাকে নিয়ে নানা জল্পনা ও কল্পনার শেষ নেই।
তৎকালীন সময়ে পুরকায়স্থ বাজারে প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন মেয়েদের মিলন মেলা। ওই অফিসে প্রধান ফটকের দোকানে রয়েছে কোম্পানীর শো-রুম। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরকায়স্থ বাজারে তার অফিসে সুন্দরী মেয়ে ও বিধবা মহিলাদের আসতে দেখেন। অফিসের ভেতরে কি ধরণের কার্যক্রম চলছে সাধারণ মানুষের চোখে অস্পষ্ট। অফিসে রয়েছিলো বড় একটি চেয়ার ও টেবিল তার পাশে রয়েছে আরও দুটি চেয়ার,বড় চেয়ারে বসেন চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম। তার সামনে রয়েছে আরও কয়েকটি চেয়ার ও বেশ কিছু সুন্দরী মেয়ে নিয়ে চলছে মিটিং গল্প আর আড্ডা। প্রতিদিন চলে মিটিং, কিন্তু দাপ্তরিক নেই কোন কার্যক্রম। ঢুকতে দেওয়া হয় না এলাকার কোন তরুণ কিংবা কোন ব্যবসায়ীদের। শুধুই চলে অফিস উদ্ভোধন,অথিতি হয়ে আসেন বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ ও চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ। আর যাদের অতিথি করে আনা হয়, তারা বেশির ভাগ প্রভাবশালী নেতা ও ভিত্তিশালীরা। এদের অতিথি করে তার বিভিন্ন কার্যক্রম দেখিয়ে নিজের ফেসবুক স্যোসাল মিডিয়ায় ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রচার করা হতো। কিন্তু এ কোম্পানীর অন্তরে কি কার্যক্রম এলাকার মানুষের কাছে রহস্য ঘেরার শেষ ছিলো না।
শুধু লক্ষণাবন্দ পুরকায়স্থ বাজার নয়, ঢাকাদক্ষিণ ও বড়লেখার দাসের বাজারে অফিস উদ্ভোধনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কোম্পানীতে বিভিন্ন ফুড আইটেমের নাম উল্লেখ করে মাকের্র্টিং করছেন নিজের শো রুম পুরকায়স্থ বাজারে, তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য প্রডাক্ট হচ্ছে, নবীন পাঁচফোড়ন, হলুদের গুড়া, বারবাখরের গুড়ো, নবীন বাদাম বিচি এ সব প্রডাক্ট নিজের শো রুমে হাতে গুনা কয়েকটি পেকেট সাজিয়ে রেখেছেন ঝাক-ঝমক ভাবে। স্যোসাল মিডিয়া চলছে বিজ্ঞপ্তি প্রতিটি এলাকায় ডিলার নিয়োগ প্রদান করা হবে ও চাকুরি দেওয়া লোকদের। অথচ নিজের শো-রুম ছাড়া বাজারে কোথাও ওই কোম্পানীর কোন মালামাল পাওয়া যায় না। যে বাজারে রয়েছে ওই কোম্পানীর কার্যালয়, সে বাজারে এ প্রডাক্ট কেউ চিনেন না বলে, অনেক ব্যবসায়ী ও দোকানদারা জানান।
এ ব্যাপারে উক্ত কোম্পানীর প্রডাক্টের বিএসটিআই অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনি জয়েন্ট স্টক এক্সচেঞ্জ ও ট্রেড মার্কের লাইসেন্স নিয়েছেন,ওই লাইসেন্স নিলে বিএসটিআই অনুমোদন লাগবে না।
এ বিষয়ে বিএসটিআই সিলেটে অফিসের উপ পরিচালক (মেট্রোলজি) মোঃ লুৎফর রহমান সাথে কথা বলে তিনি জানান, ফুড প্রডাক্ট যত ধরণে বাজার জাত করতে হয়, প্রত্যেকটির বিএসটিআই’র অনুমোদন লাগবে,আর এ ধরণের প্রডাক্ট বাজার জাত করতে হলে বিএসটিআই’র নিয়ম মেনে করতে হবে। আমাদের অফিসে ওই নামে কোম্পানীর অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন