সিলেটের বিশ্বনাথে অর্ধশত বানবাসীর ঠাই মিললো না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

সিলেটের বিশ্বনাথে ২১ জুন রাতে বন্যায় কবলিত মানুষ বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নিতে এলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন অর্ধশত বন্যার্ত মানুষকে আশ্রয় না দিয়ে পানি, বিদ্যুৎ, বাথরুমের লাইন বন্ধ করে চলে যান।
পরে এলাকাবাসী এসে তাদের কাদিপুর শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বানবাসী নিপা বেগম, নিবন্ধ বিকাশ, শ্রমিক নেতা সুন্দর আলী, ইউনুছ আলী বলেন, আমরা পানি বন্ধী ও ঘরের ভিতরে ডুকে যাওয়ায় আমাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে নিরাপদ স্হান ভেবে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নেই। পরে উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা দেলোয়ার সুমন এসে বিদ্যুৎ, পানি, বাথরুম বন্ধ করে দেন এবং আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদান করতে থাকেন। পরে আমাদের শিশুরা পানির জন্য যখন কান্না কর থাকে তখন তাদেরকে বাধ্য হয়ে আমরা বন্যার পানি খেতে দেই। আমরা তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাহায্য নিলে তিনি ও স্বাস্হকর্মকর্তার কাছে অনরোধ করলেও তিনি ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কাদিপুর শাহজালাল পল্লী পরিষদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আফিজ আলী বলেন, দেলোয়ার হোসেন সুমনকে আমি অনেক ভাবে বলেছি কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেন নি। বন্যা কবলিত মানুষ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সত্য, তিনি আমাকে বলেন ৩০ মিনিটের মধ্যে বন্যায় কবলিত মানুষকে নিয়ে চলে যেতে।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান সুইট বলেন, আমি এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সুমনের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিএইচও দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বক্তব্য দিতে অপারকতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.জন্মেজয় দত্ত বলেন, এ বিষয়ে আমার কেনো কিছু জানা নেই।