সিলেটের সুরমা নদীর ৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপরি বন্যার পানি প্রবাহিত

সিলেটে নগরী সহ আশা পাশের নিচু এলাকায় ৩ জুন রাত ছিল বাসা বাড়িতে সাধারণ মানুষের র্নিঘুম রাত। সন্ধ্যার পর থেকে গোটা সিলেট জুড়ে বিরাহমহীন বৃষ্টি হতে থাকে রাত ১টার পর থেকে ভারী বর্ষণে বাসা বাড়ি ও অলি গলিতে পানি ঢুকতে থাকে। হঠাৎ করে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করলে আতংকে পড়েন মানুষ। অনেক দ্বিতল ভবনে আসবাব পত্র তুলতে থাকনে এবং শিশু ও বৃদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যান। গতকাল থেকে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে এক দিনের ব্যবধানে সিলেটের ৮টি পয়েন্টে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। ফলে উপজেলা পর্যায়ে দীর্ঘায়িত হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সিলেট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানির অবস্থান ছিল ১৩ দশমিক ৪৪ সে.মি. আর সোমবার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানির অবস্থান হচ্ছে ১৩ দশমিক ৩৬ সে.মি.। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৪৪ সে.মি.।
সিলেট পয়েন্টে সুরমার পানি সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানি ছিল ১০ দশমিক ৮১ সে.মি.। যা রোববার সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৭৮ সে.মি., মঙ্গলবার ( ৪ জুন) সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৭৯ সে.মি. প্রবাহিত হচ্ছে।
পরিসংখ্যা দেখা যায় অমলশীদ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও এখনো বিপদসীমার ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় এই পয়েন্টে পানির সর্বশেষ অবস্থান ছিল ১৫ দশমিক ৮০ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১৬ দশমিক ২৭ সে.মি.। এর বিপদসীমা হচ্ছে ১৫ দশমিক ৪০ সে.মি.।
সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় শেওলা পয়েন্টে একই নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৩৯ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির সর্বশেষ অবস্থান ছিল ১২ দশমিক ৬৬ সে.মি.। যা রোববার সন্ধ্যায় ছিল ১২ দশমিক ৯১ সে.মি.। এর বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সে.মি.। এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জে পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ২১ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১৩ দশমিক ৬৬ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১০ দশমিক ৫৩ সে.মি.। এর বিপদসীমা ১২ দশমিক ৪৫ সে.মি.।
শেরপুর পয়েন্টে একই নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ৮ দশমিক ০৩ সে.মি.। সোমবার সন্ধ্যায় লোভাছড়া পয়েন্টে লোভা’র পানির অবস্থান ছিল ১৩ দশমিক ৪৩ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১৩ দশমিক ৫৩ সে.মি.। ২৪ ঘন্টায় এই পয়েন্টে কমেছে পানি।
সারিঘাট পয়েন্টে সারি’র পানি বাড়লেও বিপদসীমার ৬০ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১১ দশমিক ৭৫ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১১ দশমিক ৫৭ সে.মি.। জাফলং পয়েন্টে ডাউকি নদীর পানি বাড়লেও বিপদসীমার ২৩৬ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১০ দশমিক ৬৪ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১০ দশমিক ৫২ সে.মি.।
গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি গোয়াইনের পানি বাড়লে বিপদগসীমার ৫৪ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় পানির অবস্থান ছিল ১০ দশমিক ২৮ সে.মি.। যা রোববার ছিল ১০ দশমিক ২২ সে.মি.। এদিকে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সুনামগঞ্জ, ছাতক ও দিরাই পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।