সিলেটে মশাল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
সিলেট তীব্র তাপদাহের পর মশাল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে সিলেটের দুটি নদ-নদীর পানি শুষ্ক মৌসুমের বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। ফলে সিলেট জুড়ে বন্যার আশঙ্কা শোনা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রীষ্মকালে সিলেটে সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। আর বর্ষা মৌসুমে বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৭৫ মিটার। অথচ এই মৌসুমে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে (শুক্রবার) পানির স্তর। যেটি এই মৌসুমে সাধারণত হওয়ার কথা নয়।
তবে শনিবার (৪ মে) থেকে পানির স্তর ১০ দশমিক ৩ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। একই ভাবে কুশিয়ারা নদীর পানিও উজানের ঢলে বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। তবে সোমবার (০৫ মে) রাত ভর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সিলেটের বিভিন্ন ভাটি অঞ্চলে বেড়েছে পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে- বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। মূলতঃ সিলেটে বৃষ্টির কারণে আগাম বন্যা হয় না, বাংলাদেশের উজানে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি হলে আগাম বন্যা হয়। সোমবার রাতে সিলেটে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রাকবর্ষা মৌসুমে সিলেটে ও ভারতে বৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগাম বন্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বর্ষা মৌসুমের বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
জানা গেছে, সিলেটে সোববার দিবাগত রাত ভর বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিলো বজ্রগর্জন, বজ্রপাত ও ঝড়োহাওয়ার সঙ্গে প্রবল ঝড়। সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন সোমবার সকালে জানিয়েছেন- শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল থেকেও সিলেটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও সন্ধ্যার পর কিছু জায়গায় বৃষ্টি নামে। এ রিপোর্ট লেখা ( বেলা ৬টা পর্যন্ত) সিলেটে বৃষ্টি ঝরছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন