সিলেটে সুরমা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ি : দিশেহারা এলাকাবাসী
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার উপর দিয়ে সুরমা নদীর অবস্থান হওয়ায় ঘাতক সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে গ্রামের পর গ্রাম ও হাট-বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরমার নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।
এতে উপজেলার সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা।
বিশেষ করে সুরমার নদীর ভাঙ্গনে কানাইঘাট উপজেলার ৬নং সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৯৫১ সাল থেকে অদ্যাবধি অত্র ওয়ার্ডের ভাটিদিহি গ্রাম, ২টি বাজার, দু’তলা একাডেমিক ভবন সহ মাদরাসা, একটি মসজিদ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১৪টি বাড়ি, ২১ একর কৃষি জমি, ৬৪ বিঘা বাড়ির জমি নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়েছে। বর্তমানে ৫০টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে আছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে ২ হাজার পরিবার সহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬নং সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে সুরমা নদীর ভাঙ্গণে প্রতিদিনই কোন না কোন গ্রামের লোকজন ঘরবাড়ি হারাতে হচ্ছে। দিন দিন নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় ইতিমধ্যে অসংখ্য বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ভিটা বাড়ী হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেকে। বর্তমানে তারা অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।
এছাড়াও বাড়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাস্তাঘাট সুরমার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যার কারণে এলাকাবাসী রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে। এতে সুরমা নদীর ভাঙ্গনে প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক সহ খেটে খাওয়া লোকজন। এসব অসহায় লোকজন ঘর বাড়ী হারিয়ে আজ তারা দিশেহারা। এ নিঃস্ব লোকজনরা কোথায় ঠাই নিবেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙ্গন রোধে কানাইঘাটে বিগত দিনে কাজ করালেও সুরমা নদীর ভাঙ্গন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ভাটিদিহি গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সুরমা নদীর ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন