সিলেটে ২০২৩ সালে ১২ জন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার


মান অভিমান, পারিবারিক নানা সমস্যা সহ বিষয়কে নিয়ে এক বছরে সিলেটে ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এর পেছনে ছিল নানা কারণ।
এমন তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন। দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে তারা। শনিবার (২৭ জানুয়ারী) সমীক্ষার ফল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়।
আঁচল ফাউন্ডেশন জানায়, সব মিলিয়ে গত বছর (২০২৩) দেশে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৩০৯ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ২০৪ জন। আত্মহননের পেছনে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই কাজ করেছে অভিমান।
সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, গেল বছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৪৯টি। এর পরের অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগের, এখানে আত্মহত্যা করেছেন ৮৯ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭৭ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, বরিশাল ও রংপুর উভয় বিভাগেই ৪৩ জন করে, ময়মনসিংহে ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী ২২৭ জন, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ১৪০ জন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৯৮ জন ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ৪৮ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কতোটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যা করেছিল ৫৩২ জন শিক্ষার্থী। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১৩ জনে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন