সিলেট জুড়ে প্রতিহিংসার লুটপাট, ভাংচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে
গোঠ সিলেট জুড়ে প্রতি হিংসায় মেতে উঠেছেন অতিউৎসাহী জনতা। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর পরই দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে-সাথে সিলেটজুড়ে চালানো হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞ।
সোমবার (৫ অক্টোবর) বেলা ২টার পর থেকে নগরজুড়ে আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি অতিউৎসাহী জনতা কর্তৃক ডিসি অফিস, এসপি অফিস, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, নগরীর কোতোয়ালী থানাসহ বিভিন্ন থানা ও সরকারী স্থাপনায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিভিন্ন সরকারী অফিসে চলে আসবাবপত্র লুটপাট।
এদিকে সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসা-অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বাসভবন, মাহিউদ্দিন আহমদ লোকমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাহা’সহ বিভিন্ন অফিসে হামলা ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই মিছিল নিয়ে একদল মানুষ নগরের শাপলাবাগ এলাকায় প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
পৃথক ভাবে আরও কয়েকটি দল নগরের পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় সিলেট সিটি করর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, গোপালটিলা এলাকায় অবস্থিত সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রণজিত চন্দ্র সরকার, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিনের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়।
এ ছাড়া নগরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত অনেক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাহাতে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সোমবার (৫ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে নগরের বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থিত সিলেটের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এসময় ডিসি অফিস, জেলা পরিষদ ভবন, কোতোয়ালী থানা, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িসহ অধিকাংশ থানাতে চলে হামলা-ভাংচুর। বেলা ৫টার দিকে সেনাবাহিনী এসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরিয়ে দেয়।
সার্বিক বিষয়ে জানতে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন