সিলেট জুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালিত
সিলেট জুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৭ মার্চ বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারা দেশের মতো সিলেটেও আজ দিনটি পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিন, সাত দিন ও পনের দিনেরও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসাবেও উদযাপিত হচ্ছে আজ। এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন’।
দিনটি উপলক্ষে সিলেট জেলা পরিষদের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১০দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।
এছাড়া, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায়ও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ১৭ মার্চ বুধবার বিকেল ৪ টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সম্মুখ ভাগে স্থাপিত মঞ্চে ‘আজি শুভদিনে পিতার ভবনে অমৃতসদনে চল যাই’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য এ উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উৎসব উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে সিলেট নগরী। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে সাঁটানো হয়েছে উৎসব লোগো সম্পর্কিত ব্যানার, ফেস্টুন। জাতির পিতার জন্ম উৎসবকে রঙিন করে তুলতে করা হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। বিতরণ করা হয়েছে প্রায় সহ¯্রাধিক আমন্ত্রণপত্র। চালানো হয়েছে ডিজিটাল প্রচারণাও।
সিলেট জেলা পরিষদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ জানান, বঙ্গবন্ধু উৎসবের অনুষ্ঠান স্থল রিকাবীবাজার জেলা স্টেডিয়ামের সম্মুখ ভাগ বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার বাড়ির আদলে মঞ্চ সাজানো হয়েছে। একইভাবে অনুষ্ঠানের অন্য ভেন্যু কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামকেও সাজানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের সাথে সমন্বয় রেখে। পুরো উৎসবকে সফলের লক্ষ্যে জেলা পরিষদ, সিলেট এর সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছেন সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। উৎসব জুড়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মালায় অংশ নিচ্ছেন দেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনেরা। সিলেটের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি প্রথম দিন ১৭ মার্চ বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, দ্বিতীয় দিন ১৮ মার্চ উপস্থিত থাকবেন একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমান, শেষ দিন ১৯ মার্চ উপস্থিত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, বরেণ্য বাচিকশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল ইসলাম শামীম রেজা। এদিকে, সাংস্কৃতিক আয়োজনকে সফলের লক্ষ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে মহড়া চলছে নগরীর বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন বিকেল হলেই ‘সাংস্কৃতিকপাড়া’ জেগে উঠে গান-কবিতায়।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন জানান, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১০দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। ১৭ মার্চ বুধবার থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী টানা কর্মসূচি পালন করা হবে। এরমধ্যে, ১৭ মার্চ থেকে ক্বিন ব্রিজের পাশে সারদা হলের সামনে প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে আলোচনা সভা এবং স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে, একক ও দলীয় নৃত্য, একক ও সমবেত আবৃত্তি, একক ও সমবেত সঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত ইত্যাদি। এছাড়া, সূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে। এরমধ্যে ১৭ মার্চ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ১৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ১৯ মার্চ জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ, ২০ মার্চ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগ, ২১ মার্চ জেলা ও মহানগর শ্রমিক লীগ, ২২ মার্চ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ মার্চ জেলা ও মহানগর কৃষক লীগ, ২৪ মার্চ জেলা ও মহানগর তাঁতী লীগ, ২৫ ও ২৬ মার্চ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন