আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের হিমশিম
সিলেট নগরীতে জলাশয় ভরাট করে নির্মাণ হচ্ছে উচু উচু বিল্ডিং
সিলেটে নগরীতে একরে পর এক ছোট বড় জলাশয় মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে উচু উচু বিল্ডিং। যার ফলে সিলেট নগরী থেকে কমে গেছে জলাশয়ের সংখ্যা। কিন্তু বড় সমস্যা দাঁড়িয়েছে নগরীর কোথাও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে পানির জন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসকে বেগ পেতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, সিলেট নগরে এক সময় দিঘিসহ ছোট-বড় পুকুর প্রায় অর্ধশতাধিক ছিল। এসবের নামে বিভিন্ন এলাকার নামকরণও হয়। এদিকে নগরায়ণের ফলে এলাকার নাম থাকলেও সেই পুকুর-দিঘির সিংহভাগই ভরাট হয়ে গেছে, নির্মাণ করা হয়েছে বাসাবাড়ি। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে রামের দিঘি, লালদিঘি, মাছুদিঘি, সাগরদিঘি, চারাদিঘি নামের সঙ্গে ‘পার’ যুক্ত হয়ে শুধু টিকে আছে এলাকার নাম গুলো। অন্যদিকে ভরাট করে গড়ে তোলা বহুতল ভবনের প্রায় ৭০ শতাংশ ভবনেই নেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা।
ফলে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসকে পানি সংকটে পড়তে হয়। পানির যোগান দিতে ফায়ার সার্ভিস হাইড্রেন্ট পয়েন্ট তৈরির সুপারিশ করলেও বাসা-বাড়িতে হাইড্রেন্ট রিজার্ভ নিশ্চিতকে গুরুত্ব দিচ্ছে সিটি করপোরেশন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট হলেই হবে না। পরিকল্পনা আর ইমারত নির্মাণ আইনের বাস্তবায়ন খুব জরুরী। কারণ এখন অধিকাংশ বাসা তৈরি হচ্ছে যে গুলোর রাস্তা একেবারেই ছোট। এতে আগুন লাগলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হবে। ভবন নির্মাণে পর্যাপ্ত রাস্তাসহ সঠিক পরিকল্পনার অভাবে দেখা দিতে পারে মহাবিপদ।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আগুন নেভানোর জন্য সবচেয়ে জরুরী পানি। কিন্তু মহানগরের অধিকাংশ এলাকাতে পানির উৎস নেই। ফলে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে পানির তীব্র সমস্যায় পড়তে হয়। এজন্য গত দু’বছর আগে ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট নির্মাণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরী।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, হাইড্রেন্ট পয়েন্ট খুব কার্যকরী হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ আমাদের এখানে পানির প্রেসার সব সময় সমান থাকে না। তাই আমরা হাইড্রেন্ট পয়েন্ট নির্মাণের বদলে বাসাবাড়িতে হাইড্রেন্ট রিজার্ভ নিশ্চিত করার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন