সিলেট মহিলা টিটিসিতে শিক্ষক সংকটের অযুহাতে ১৫ বছর ধরে কর্মরত এক শিক্ষিকা
সিলেট মহিলা সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসিতে) বিষয় ভিত্তিক (বাংলা বিভাগের) জেনারেল শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুন টানা ১৫ বছর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক সংকটের অযুহাতে একই কর্মস্থলে রয়েছেন।
দীর্ঘ দিনে অত্র টিটিসিতে অবস্থানে থাকায় ক্ষমতার ধাপট লাগামহীন, দেখেও দেখার কেউ নেই। তাঁর বদলির ব্যাপারে জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হলে অজানা কারণে মাঝপথেই তা থেমে গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালে বন্ধ গেছে কারিগরির বিষয় ভিত্তিক ট্রেড, কিন্তু তাকে সংযোক্ত করে দেওয়া হয়েছে হাউপিংয়ে অর্থাৎ বিদেশগামী মহিলাদের প্রশিক্ষণের জন্য। ফাতেমা খাতুনের হাত শুধু টিটিসিতে সীমাবদ্ধ নয় রয়েছে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত বিস্তার, তাছাড়া রয়েছে বড় বড় ট্রাভেলস এজেন্সি মালিক ও দালাদের সাথে গভীর সম্পর্ক, যার ফলে তার বদলী হয়ে থাকে অধারা।
ফতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই, জানা যায় দীর্ঘ দিন ধরে বেদেশগামী মহিলাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে ভর্তি ফি আদায়, ভর্তি না করে দালাদের মাধ্যমে সার্টিফিকেট বিরতণ, হোস্টেলের মহিলাদের খাওয়ার নামে টাকা উত্তোলন সহ অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। বেদেশগামী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা জানান, ওই শিক্ষিকা তাদের কাছ থেকে ভর্তি ফি বাবত দফা দফা প্রায় ৮ হাজার নিয়েছেন, অতিরিক্ত দিতে হয়েছে খাওয়ার টাকা, অথচ টাকা দেওয়ার পর সে আর ভর্তি কিংবা থাকা লাগেনি টিটিসি হোস্টেলে।
ফাতেমা খাতুন সিলেট টিটিসিতে যোগদানের পর আঙ্গুল ফোলে কলাগাছ হয়েছেন,ঢাকা শহরে নামে বেনামে করেছেন ফ্লাট ও বাড়ি। ইতোমধ্যে ঢাকা শহরে শেষ হয়েছে ফ্লাটের কাজ। তিনি নাকি ফ্লাটের কাজ সম্পুর্ণ হলে সিলেট ছাড়বেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উচ্চপদস্থ সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষক, শিক্ষিকা বা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী একই কর্মস্থলে তিন থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু এখানকার প্রশাসন চাকরিবিধির তোয়াক্কা করে না। ফলে শিক্ষিকা রাজনৈতিক আশ্রয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষকতা করছেন। যা মোটেও উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলির ফলে প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা উভয়েই লাভবান হয়।
বিশিষ্ট এক রাজনীতিবিদ জানান, একজন শিক্ষক যুগের পর যুগ একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় তাঁর শিখন কলা- কৌশল, পদ্ধতি বা শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারছে না শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সচেতন ব্যক্তিরা। প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়নের জন্য যারা দীর্ঘ দিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের তাদের মন্ত্রনালয় বদলী করা উচিত বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন