সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এর আয়তন বৃদ্ধি
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এর আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে। সিলেট সিটি প্রথমে পৌরসভা হিসেবে ২০০২ সালে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়।
প্রাথমিক ভাবে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে সিসিক। সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম আয়তনের সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সিলেট। অবশ্য সিটি কর্পোরেশনের পরিধি বৃদ্ধির দাবি উঠেছিলো বিভিন্ন মহল থেকে। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কয়েকটি এলাকা সিসিকের আওতাভুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মতামত নিতে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত এলাকাগুলো গেজেট হলে সিটি কর্পোরেশনের নতুন আয়তন গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫৯ বর্গকিলোমিটারে।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু মৌজা আওতাভুক্ত হয়। এলাকাগুলো হচ্ছে-সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ার চর (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ছাড়া), খুরুমখলা শাহপুর, আখালিয়া, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খন্ড, টিলাগড়, দেবপুর, কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খন্ড, টিলাগড় ও দেবপুর। দক্ষিণ সুরমার এলাকাগুলো হলো-কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি, মণিপুর, আলমপুর, গোটাটিকর, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি, গোধরাইল এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ), বলদী (দাগ নম্বর ২১৯৯-২৩৪৯, ৩৫০৯-৩৫১১, ৩৫১৩, ৩৫৩৫)।
২৬ জুলাই (সোমবার) সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)-এর বর্ধিতকরণ প্রস্তাব প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। কমিটির আহবায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। ফলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বৃদ্ধির দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। এখন নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহকে ওয়ার্ডে বিন্যাস করে গেজেট প্রকাশ হলেই কার্যকর হবে নিকারের এই সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, গেজেট প্রকাশ হলেই বিলুপ্ত হতে চলছে সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইউনিয়ন।
তবে, আগে এসব মৌজার যেসব অংশ সিসিকের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি অংশ এখন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন