সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ১০ প্রার্থীকে ট্যাক্স রুল ধারায় নোটিশ

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। সকল দলের সম্ভাব্য প্রার্থী এখন ঢাকা মুখী, কেউ দৌড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের (নৌকা) পথিক আশায়, কেউ বা জাতীয় পার্টির পথিক (লাঙ্গলের) আশায় কেউ আবার স্বতন্ত্রপ্রার্থী। সকল প্রার্থীর প্রচারণার উৎস হয়ে দাড়িয়েছে সিলেট নগরীর অলি গলি ফেস্টুন ও পোস্টারে ভরে গেছে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বারখানা, শিবগঞ্জ, কদমতলী পয়েন্ট।

এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নগর পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কোথাও কোন বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও পোস্টার না লাগানোর জন্য সর্তক করে আসছে। কিন্তু এসব অমান্য করে সিলেট-৩ আসনের প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে গেলে উপনির্বাচনের সম্ভাব্য ১০ প্রার্থীকে নোটিশ দিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

মিউনিসিপ্যালিটি ও সিটি করপোরেশন ট্যাক্স রুল ১৯৮৬ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা তাদের নামে নোটিশ ইস্যু করেন।

নোটিশে সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রচারণা চালানোর জন্য নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করার জন্য তাদেরকে তাগিদ দেয়া হয়।
নোটিশ ইস্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

নোটিশপ্রাপ্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, যুক্তরাজ্য শাখার ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা স্যার এনাম উল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মোস্তাকিম রাজা চৌধুরী ও মো. সেলিম মিয়া। আরও দু’জন, যাদের নাম জানা যায়নি।