সিলেট-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ফসয়লকে চায় জনসাধারণ! এমরানকে না

সিলেটের অন্যতম আসন সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে এমরান আহমদ চৌধুরী হিসেবে প্রচার প্রচারনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল রাজনীতিবদরা দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে নিয়েছেন। যদিও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
রোববার (৯ নভেম্বর ২০২৫ইং) হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণাও শুরু করেছেন তিনি। তবে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিয়ানীবাজার পক্ষ থেকে এমরানের বদলে এই আসনে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে প্রার্থী করার দাবি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির নেতারা।
ফয়সল আহমদ সিলেট-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীকে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেন। তাকেই আবার প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির নেতারা।
রাতের ভোট হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওই নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ফয়সল আহমদ চৌধুরী লক্ষাধিক ভোট পেয়ে ছিলেন।
শনিবার বিয়ানীবাজারে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতারা এ দাবি জানান। বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান রুমেলের সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছরওয়ার হোসেন বলেন, ‘অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি ও চরম খারাপ অবস্থা ছিল ২০১৮ সালে। দলীয় নেতৃবৃন্দের উপর মামলা, হামলার পরও একটি মিনিটের জন্য এই আসন থেকে ফয়সল আহমদ চৌধুরী সরে যাননি। বীরদর্পে এলাকার নির্বাচনী প্রচারণা করে ১ লাখ ৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। বিয়ানীবাজার- গোলাপগঞ্জকে আসনের দল এবং দলের বাইরে ভোটারের মনের মণিকোঠায় তিনি স্থান করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই আসনে মনোনয়ন ঘোষণার পর আমাদের প্রত্যেকের এই অবস্থা হয়েছে-বাড়ি থেকে বের হলে সবাই বলে-আমরা আশা করলাম কী, আর পেলাম কী? যেহেতু আমাদের মহাসচিব মনোনয়ন ঘোষণার সময় বলেছেন এটি সম্ভাব্য তালিকা। চূড়ান্ত তালিকা এখনো হয়নি। আমাদের দাবি, যদি চূড়ান্ত তালিকায় যেন ফয়সল আহমদ চৌধুরীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ফয়সল চৌধুরী আসলে সহজে বিজয় সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই আসন আমাদের নেতাকর্মীদের কষ্ট করা লাগবে না। বিপুল ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতীক ধানের শীষ বিজয়ী হয়ে আসবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষে কাজ করব, নেতৃবৃন্দের বিপক্ষে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু আজকের এই উপস্থিতিতে নেতাকর্মীরা যে বক্তব্য রেখেছেন-আশা করি কেন্দ্র সেটি বিবেচনা করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম যদি ফয়সল আহমদ চৌধুরী নমিনেশন পান তাহলে অত্যন্ত সহজে আমরা এ আসনটি পার করে ফেলব। আমি আজকের এই বৈঠক থেকে একটা কথা বলতে চাই, ফয়সল আহমদ চৌধুরী আপনাকে মানুষ অনেক পছন্দ করে।
আমরা এখানে যারা আছি আমরা আপনার পাশে ছিলাম, পাশে আছি, ভবিষ্যতেও আপনার পাশে পাবেন। আমি এই কথাটুকু দিয়ে যাচ্ছি।
উক্ত সভায় অন্যান্যরা বলেন- এ আসনটি উদ্ধার করতে হলে ফয়সল আহমদ চৌধুরীর বিকল্প নেই দাবি করে তারা বলেন, ‘এই আসনটি আমাদের জাতীয়তাবাদীর খাতায় বা লিস্টে ছিল না মরহুম লুৎফুর রহমান এমপি সাহেবের পরে। কিন্তু ২০১৮ সালে ফয়সল আহমদ চৌধুরী এটিকে আবার জাতীয়তাবাদীর লিস্টে নাম তুলিয়ে ছিলেন।
আমরা তৃণমুল থেকে অনুরোধ জানাবো- চূড়ান্ত মনোনয়নে যেন ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















