সীমান্তে সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে তুরস্ক
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে আসাদ বাহিনী এবং মিত্রদের বড় ধরনের হামলার আশঙ্কায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর সিরিয়ার হামাপ্রদেশে মোরেক শহরের কাছে একটি ফাঁড়িতে তুর্কি সামরিক বহরকে আসতে দেখা গেছে।
তুর্কি-সিরীয় সীমান্ত থেকে অর্ধশত কিলোমিটার দূরে হাতাইপ্রদেশে বেসামরিক বিমানবন্দরে সামরিক বিমান থেকে সেনাদের নামতে দেখছে আলজাজিরা। তবে সেনারা সরাসরি সীমান্ত বরাবর এগোচ্ছে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
তুরস্ক ইতিমধ্যে ৩৫ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। যদি সিরীয় বাহিনী নতুন করে অভিযান শুরু করে, তবে শরণার্থীদের আরও বড় ঢল নামার আশঙ্কা রয়েছে।
তুরস্কের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেতিন গুরকান বলেন, আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে আঙ্কারা সীমান্তে সেনা জড়ো করছে। তিনি বলেন, আপনি যদি তাদের অস্ত্রের ধরনের দিকে নজর দেন, দেখবেন তাদের সবাই আত্মরক্ষার অভিপ্রায় নিয়েই গেছে।
গত দুই সপ্তাহে ইদলিবে রুশ-সিরীয় হামলা শুরু হলে প্রায় ৪০ হাজার অধিবাসী সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে গেছেন। জাতিসংঘের হিসাবে, পুরোদমে হামলা শুরু হলে ৯ লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক প্রদেশটি থেকে পালিয়ে যেতে পারেন।
ইদলিবে হামলার ব্যাপারে তুর্কি সরকার বারবার সিরিয়াকে হুশিয়ার করে আসছে। এতে করে তুরস্কের দিকে ফের বড় ধরনের শরণার্থী ঢল নামতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন