সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় কিশোরী অপহরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামে জুই আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বাবা মোজাম্মেল আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল আকন্দ (পিতা: মনজুরুল হক) বলেন, আমার মেয়ে জুই আক্তার, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী, বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে মোবারক (পিতা: আইজল মিয়া, গ্রাম: চকিয়াচাপুর, পেশা: অটোচালক), তাকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি মোবারকের বাবাকে জানালে মোবারক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ জুন ২০২৫ রাত ৯টার দিকে মোবারক ও তার সহযোগী রানা মিয়া (পিতা: নজরুল), মনির (পিতা: হাবিবুল) ও আজহার (পিতা: আয়াত আলী) সহ মিলে তাদের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় জুই ঘর থেকে বের হলে তারা মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে সেদিন রাতেই তারা ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
চার দিন পর মোবারক তাদের স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুইকে উদ্ধার করে এবং মোবারককে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।
কিন্তু গত ২৭ আগস্ট আদালতে জুইকে হাজির করা হলে আদালত তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত প্রাঙ্গণে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অবস্থান নেয়া মোবারকের লোকজন হঠাৎ উকিল চেম্বারে ঢুকে মোজাম্মেল আকন্দের ওপর হামলা চালায় এবং জুইকে আবারও অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরিবারের দাবি, আমার মেয়ে জুই আকন্দকে দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদে আমাদের কাছে ফিরে দিতে হবে, মোবারক ও তার সহযোগিতা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, আদালত প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া এ নিরাপত্তা ব্যর্থতা সুশ্রেষ্ঠ তদন্ত করতে হবে, আমাদের পরিবারকে যেকোনো ধরনের হুমকি ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, আমরা আশা করি ও সংকৃষ্ট কৃতপক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং আমাদের মেয়ে জুই আকন্দকে নিরাপদে ফিরিয়ে দেবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ হবিকুল মিয়া জানান যে তাদের মেয়ে কে তারা লুকিয়ে এখন আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন