সুন্দরবনে‌ বাঘের থাবায় কৃষক আহত

সুন্দরবনে গরু আনতে গিয়ে বাঘের থাবায় মো. ফজলু গাজী (৬২) নামে এক বৃদ্ধ জখম হয়েছেন।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন ফজলু গাজী। তার ডান পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে শুক্রবার সকালে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলার উপজেলার সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণের শিকার হন ফজলু গাজী।

আহত ফজলু গাজীর বাড়ি শরণখোলার উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামে। কৃষিকাজ ও গরু পালন করে দিন কাটে ৬২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের।

ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, তাদের বাড়ি সুন্দরবনের একদম কাছেই। গত মঙ্গলবার সকালে তাদের একটি গরু ছাড়া পেয়ে শুকিয়ে যাওয়া ওই ভোলা নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। বেলা ১১টার দিকে ওই গরু আনতে ওপার যান তার স্বামী।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলু গাজী বলেন, বনের কিছুটা ভেতরে গিয়ে গরুর দেখা পাই। ফিরব এমন সময় কিছু দৌড়ে আসার শব্দ পাই। সঙ্গে সঙ্গে জোরে চিৎকার করে উঠি। খালে দুই নৌকায় ১০-১২ জন মাছ ধরছিলেন। তারা সবাই ছুটে আসেন। এর মধ্যে বাঘ এসে আক্রমণ করে। সবার হাঁকডাকে বাঘ আবার বনে চলে যায়। বনে প্রবেশের পাস করা হয়নি বলে ভয়ে কাউকে কিছু জানাইনি।

স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখে দুদিন দেখানোর পরে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক চিকিৎসক জেলা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, বাঘের থাবায় আহত ফজলু গাজী আমার চেম্বার এসেছিলেন। তার ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্ত হয়ে গেছে। পরিবারটি অনেক দরিদ্র, চিকিৎসার ব্যয় মেটানোও তাদের জন্য কঠিন। আমরা তাকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকে সব ধরনের সেবা দিচ্ছি। শনিবার তার পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হবে।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয় বন বিভাগ। জানতে চাইলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, হয়তো অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করায় আমাদের কিছু জানাননি তারা।