সু চি’কে রিমান্ডে নিয়েছে সামরিক সরকার
মিয়ানমার ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে অবৈধভাবে যোগাযোগ সরঞ্জাম আমদানি এবং ব্যবহারের অভিযোগে মামলা করে দুই সপ্তাহের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি আমদানি-রপ্তানির আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং রাজধানী নেইপিদোতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। যা অবৈধভাবে আমদানি এবং অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে।
সাক্ষী এবং অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ, আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সু চি’কে আটক রাখার জন্য বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে আবেদন জানানো হয়।
আলাদা একটি নথিতে দেখা যায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে।
সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) নোবেলজয়ী সু চি ‘কে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। বন্ধ হয়ে যায় দেশটির গণতন্ত্রের পথের যাত্রা। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো।
৭৫ বছর বয়সী সু চি’র বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বলা হয়, রাজধানী নেইপিদোতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। যা অবৈধভাবে আমদানি এবং অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে।
সাক্ষী এবং অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ, আরও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সু চি’কে আটক রাখার জন্য বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে আবেদন জানানো হয়।
আলাদা একটি নথিতে দেখা যায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থাপনা আইন ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, পুলিশ, সরকার এবং আদালতের কাউকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এর আগে জানায়, দেশটির বিভিন্ন জায়গায় থাকা তাদের দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দলটির কার্যালয়গুলোতে এমন অভিযানকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে এসব বন্ধের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায় এনএলডি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতা গ্রহণ করেন দেশটির সেনা প্রধান মিন অং হায়ং। তবে কমিশন জানায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
বুধবার বৃহত্তর অর্থনীতির সাত দেশ অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জি-৭, দ্রুত রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, অবৈধভাবে আটকদের মুক্তি, মানবাধিকার এবং আইনের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়।
১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন সু চি। নেতৃত্ব দেন দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। ২০১৭ সালে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হলেও মিয়ানমারে এখনো তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়।
মিয়ানমারের বৃহত্তর শহর ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে হাড়ি এবং কলসি বাজিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে নিন্দা জানাবেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন