৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি
সূবর্ণচরে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর গুমের অভিযোগ
এইচ.এম আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : দাবিকৃত পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নে তাহমিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ঘটনার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো গৃহবধু তাহমিনা উদ্বার করা যায়নি। এ নিয়ে গৃহবধূর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ওই গৃহবধুর মামা মো. মামুন চরজব্বর থানায় বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরকøার্ক গ্রামের জনতা বাজার এলাকার হাজী আবদুল হান্নানের ছেলে কামরুল ইমলামের সাথে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার কাতলামারা গ্রামের আবদুল হাইয়ের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের ২০১৪ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ী ও পরিবারের লোকজন তাহমিনা আক্তারের নিকট পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তার চলে দফায় দফায় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে ২০১৫ সালে স্বামী বিদেশ চলে যায়। এরপর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ীর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এর জের ধরে গত ১৯ এপ্রিল তাহমিনাকে শারীরিকভাবে অনেক নির্যাতন করে শ্বশুর-শাশুড়ী ও পরিবারের লোকজন। পরের দিন থেকে তাকে আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও এ তাকে উদ্বার যায়নি। গৃহবধূ তাহমিনা পরিবার অভিযোগ করেন, নির্যাতনের পর তাহমিনাকে হয়তো গুম করে কোথাও আটকে রেখেছে শ্বশুর বাড়ি লোকজন। তারা দ্রুত তাকে জীবিত উদ্ধারের জন্য পুলিশের কাছে আকুতি জানায়। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই দিকে সেনবাগে গৃহবধূ’র গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন থেকে ছেমনা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূ’র গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০২ মে) দুপুরে ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূ’র মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ছেমনা খাতুন ইটবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানায়, ইটবাড়িয়া গ্রামের সিরাজ মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় দীর্ঘ দিন ধরে তার প্রথম স্ত্রী ছেমনা খাতুনের সাথে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো। এঘটনায় ছেমনা খাতুন ৫ ছেলেমেয়ে চরম মানসিক অশান্তিতে ছিলেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে কোনো সময় নিজ ঘরে গলাকেটে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই দিকে সেনবাগে ৬শ ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও নগদ টাকা সহ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রিরর নগদ ৩৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার (০২ মে) সকালে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মধ্যম রাজারামপুর গ্রামের মৃত ছালামত উল্ল্যার ছেলে কানা মফিজ (৪৫) ও একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে খলিল (২৫)। পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ডিবি পুলিশের এসআই নুর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযানকালে চার মাদক ব্যবসায়ীকে ধাওযা করে দুই জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী।পালিয়ে যায়। আটক দুই ব্যবসায়ীর দেহ তল্লাশি করে পুলিশ তাদের কাছ ৬শ পিস ইয়াবা ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা জব্দ করে। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় চার জনকে আসামী করে সেনবাগ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন