সূর্যগ্রহণের সময় বিয়ের প্রস্তাব, এরপর যা ঘটলো

প্রিয়তমাকে জীবনসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার জন্য হান্টার সয়ার্স নামে এক ব্যক্তি উপযুক্ত সময় খুঁজছিলেন। এ সময় হঠাৎ তার মাথায় আসে সূর্যগ্রহণের বিষয়টি।

হান্টার প্রায় দুই মাস আগে থেকেই ভাবছিলেন তার প্রিয়তমাকে এমনভাবে জীবনসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া যায়, যেন তা একেবারেই ভিন্ন ধরনের হয়। আর সে সুযোগ তিনি পেয়েও গেলেন। তিনি জানতে পারেন, উত্তর আমেরিকায় এবার যে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হচ্ছে তা হয়ত এ জীবনে আর পাবেন না। এ কারণে এ দিনটিকেই বেছে নেন প্রস্তাব দেওয়ার জন্য।

হান্টার জানতে পারেন, গত সোমবারের সূর্যগ্রহণের বিষয়টি। আর সে মতে প্রস্তুতিও নেন। তার প্রিয়তমা এলিয়ানা বুলার্ডকে, একসঙ্গে সূর্যগ্রহণ দেখার কথা বলে নিয়ে আসেন ক্যালিফোর্নিয়ার মনোরম হ্যাংগিং রক স্টেট পার্কে। তবে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অবশ্য গোপনই রাখেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে আসেন একটি আংটিও।

তারা সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য পর্বতের ওপরের একটি স্থানে যান। সূর্যগ্রহণ যখন শুরু হয় তখন এলিয়ানার কালো চশমা পরা চোখ আকাশের দিকে। এ সময় তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না তার সঙ্গী কী কাণ্ড করছে।

সূর্য যখন অন্ধকার হয়ে গেছে, তখন চারপাশ অপরূপ হয়ে ওঠে। এ সময়েই হাঁটু গেড়ে বসে আংটি নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হান্টার। প্রস্তাবটি দিয়েই ফেলেন তিনি।

এলিয়ানা বলেন, ‘আমি যখন সূর্যের দিকে তাকাই তখনই সে দ্রুত আংটিটি বের করে। আমি যখন ঘুরে তাকাই তখন সে হাঁটু গেড়ে বসে। ’
হান্টার এ সময় বলেন, ‘এ ঘটনা জীবনে একবারই ঘটছে আর তুমিও আমার জীবনের একমাত্র মানবী…। ’

এলিয়ানা অবশ্য এ প্রস্তাবের জবাব দিতে একটুও দেরি করেননি। সূর্যগ্রহণ তখনও শেষ হয়নি। তখনই এক পর্যায়ে তার সে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান এলিয়ানা।

এলিয়ানা জানান, তিনি তার জবাবে বলেছেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে বুড়ি হতে চাই এবং আমাদের নাতি-নাতনিকে এ দিনটির কথা জানিয়ে যেতে চাই।এ সময় হান্টার তার সঙ্গে আনা আংটিটি পরিয়ে দেন এলিয়ানার হাতে। এরপর তারা কয়েকটি ছবিও তুলে নেন। সূত্র : ফক্স নিউজ