সৃজনশীল রাজনীতির পথিকৃত শেরে বাংলা ফজলুল হক : মোস্তফা
শেরে বাংলা ফজলুল হককে সৃজনশীল রাজনীতির পথিকৃত হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, যুগ যুগ ধরে ত্যাগ তিতিক্ষার দ্বারা বাঙালিদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে সর্বস্তরে জ্ঞান ও কর্ম সাধনার যে আদর্শ তিনি স্থাপন করে গেছেন, তা চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ আয়োজিহত ভার্চুায়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নীতির রাজাকে ধারণ ও চর্চা করাই হচ্ছে রাজনীতি। এজন্য রাজনীতিকে আরও পরিশীলিত, পরিমার্জিত এবং সৃজনশীল করা প্রয়োজন। রাজার নীতিকে রাজনীতি বলা থেকে দূরে সরে শ্রেষ্ঠ নীতি, নৈতিকতা, সততা ও মূল্যবোধকে ধারণের মাধ্যমে শেরে বাংলাদের আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জাতির চেতনার জন্মদাতাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে না পারলে কৃতি সন্তানের জন্ম হয় না। এঅঞ্চলের মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। আমৃত্যু তিনি সংগ্রাম করেছেন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। দেশএবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় শেরে বাংলার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দু:খজনক হলেও সত্য আজ সেই মহান নেতা অবহেলিত।
তিনি বলেন, বাংলার ধূলো-মাটি ছিল যাঁর গৌরব, বাংলার মানুষের জন্যে অসীম ভালবাসা ছিল যাঁর প্রাণের সৌরভ, বাংলার মানুষের সেবার জন্যে আজীবন সংগ্রাম ছিল যাঁর জীবনের লক্ষ্য, নীতির প্রশ্নে যিনি ছিলেন আপোষহীন, তিনি হচ্ছেন আমাদের শের-এ-বাংলাএ. কে. ফজলুল হক। বাঙালী জাতির গর্বের উৎস এবং কেন্দ্র আমাদের শের-এ-বাংলা।
গবেষনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আর কে রিপনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন সমন্বয়কারী কৃষক মো. মহসিন ভুইয়া, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, অগ্রগামী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম ফারুক মজনু, বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সোসাইটি সভাপতি শফিকউদ্দিন অপু, সাখাওয়াত হোসেন, আলম শরিফ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, এদেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকতাবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন