সেই তুফান সরকারের ভাই পুতু ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পুতু সরকার (৪৫) নামে তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের ভাটকান্দি ব্রিজের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে একটি পাইপ গান, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, আট রাউন্ড কার্তুজ ও ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। পুতু শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারে ছেলে এবং আলোচিত যুবলীগ নেতা মতিন সরকার ও শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের ভাই। এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং ওই শিক্ষার্থী ও তার মাকে নির্যাতনের ঘটনায় তুফান এখন কারাগারে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী ও অন্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে শহরের ভাটকান্দি ব্রিজের পূর্ব পাশে দুই দল মাদক ব্যবসায়ী ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এমন খবর পেয়ে বনানী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানার একদল ফোর্স ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। জানমাল রক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুতু সরকারকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে একটি পাইপ গান, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, আট রাউন্ড কার্তুজ (বন্দুকের গুলি) ও ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। মতিন ও তুফান সরকারের সহোদর পুতুর বিরুদ্ধে সদর ও শিবগঞ্জ থানায় মাদক আইনে ৫টি মামলা রয়েছে। সে জেলার শীর্ষ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে সদর থানায় হত্যা, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন আইনে একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পুতু সরকার নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ভাই ‘বহিষ্কৃত’ যুবলীগ নেতা মতিন সরকার ফোন না ধরেননি।
স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে আলোচিত তুফানের বাবার নাম মজিবর রহমান, তিনি বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকার বাসিন্দা। মজিবর রহমান একসময় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার সাত ছেলে। তারা হলেন- জাহাঙ্গীর সরকার, শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মতিন সরকার, তুফান সরকার, পুতু সরকার, সোহাগ সরকার, ওমর সরকার ও ঝুমুর সরকার। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার কোনও অভিযোগও পাওয়া যায়নি। তবে অন্যদের সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জুয়া, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন