সেই মায়ের ছেলের দেখভাল করছেন কারারক্ষী
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি হত্যা মামলার আসামি সুমাইয়ার (২০) ছেলে সন্তানের দেখভাল করছে নারী কারারক্ষী মোসাম্মৎ পিস্তা বেগম। সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটিকে কোলে নিয়ে মায়ের বা পরিবারের লোকজনদের মতো লালন-পালন করছেন তিনি। পুরো হাসপাতাল শিশু কোলে নিয়ে পাইচারী করতে দেখা গেছে।
এদিকে হাসপাতালে সকল রোগী বাচ্চাটিকে দেখতে আসে। এছাড়া শিশুটির যত্নে যাতে অবহেলা না হয় সেজন্য বিশেষ নজরদারী রয়েছে প্রশাসনে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের।
মুন্সীগঞ্জ কারাগারের জেলার ফরিদ উদ্দিন রুবেল জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রসব বেদনা উঠে সুমাইয়ার। পরে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সিজার করা হয়। এ সময় তিনি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। এই খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের ৪ জন কারারক্ষী বিশেষ নজরদারীতে রয়েছে। শিশুটি দেখভালের জন্য দুইজন নারী পুলিশ রয়েছে।
সুমাইয়া তার স্বামী আরিফ হোসেনের প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলে মো. ইয়াসিন (৭) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি। ৬ মাস আগে পুলিশের হাতে স্বামীর প্রথম স্ত্রীর ঘরের সন্তান হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় সুমাইয়া। পরে আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় ইয়াসিন হত্যার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন সৎ মা সুমাইয়া। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় সুমাইয়া ৩ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসের দিকে জেলার সিরাজদীখানের বয়রাগাদি গ্রামে স্বামীর প্রথম স্ত্রীর ঘরের ছেলে ইয়াসিন হত্যাকাণ্ড ঘটে। ইয়াসিনকে হত্যার পর পুকুরের কচুরিপানার ভেতর গুম করার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
ওই ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ ভাজন হিসেবে দ্বিতীয় স্ত্রী সুমাইয়াকে আটক করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন দ্বিতীয় স্ত্রী সুমাইয়া। পরবর্তীতে ইয়াসিনের বাবা আরিফ হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন