সেই মুখোশধারী নুর উদ্দিন ভালুকা থেকে গ্রেফতার
নুসরাতের ওপর আগুন হামলার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন মুখোশধারী নুর উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা মুক্তি পরিষদের নেতৃত্ব দেয়া এই যুবকই স্থানীয়দের কাছে কেরোসিন তেলের বোতল ও ম্যাচ বাক্স উদ্ধারের দাবি করেছিলো।
ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নেপথ্য নায়ক হিসেবে উঠে এসেছে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার নাম।
তাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করার অভিযোগের তীর পৌর কাউন্সিলর মুকছুদুল আলমের দিকে। এখন সবার প্রশ্ন, নুসরাতের শরীরে অগ্নিসংযোগকারী চার মুখোশধারী কারা?
এক্ষেত্রে সন্দেহের তালিকায় রয়েছে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা মুক্তি পরিষদের নেতৃত্ব দেয়া নূর উদ্দিনের নাম।
জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল নুসরাতকে আগুনে ঝলসে দেয়ার পরপরই পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। মাদ্রাসার কাছেই একটি ফার্মেসির সামনে মানুষের প্রশ্নবাণে আটকে যায় বিচলিত নূর উদ্দিন। তার উপস্থিতিতেই নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী।
তারা বলছেন, নুর উদ্দীনকে জিজ্ঞাস করলাম কে কে ছিল? ও বললো আমি ছিলাম। আমি ম্যাচ আর কেরোসিন আনছি। আমি তাকে সিএনজিতে তুলে দিয়ে আসছি।
মূলত মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন নুসরাতের মা। এ মামলায় গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার হয় অধ্যক্ষ সিরাজ।
পরদিনই নুর উদ্দিন নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় সিরাজ উদ্দৌলা মুক্তি পরিষদ। একই দিন দুপুরে করা হয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। সেখানে নুসরাতের পক্ষে অবস্থান নেয়াদের হুমকি দিয়েছিলেন নুর।
স্থানীয়রা বলছেন, ফেসবুকে, ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ দিয়েছে সবাই মাদ্রাসায় মাঠে আসবা। আমরা অধ্যক্ষকে মুক্ত করে আনবো।
নুসরাতের ভাইয়ের দাবি, নুর উদ্দিনই তার বোনের প্রধান হত্যাকারী। তবে ঘটনায় জড়িত কেউই রেহাই পাবে না বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, আমি নিশ্চিত সে আমার বোনের হত্যার সঙ্গে জড়িত। তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখলে পাওয়া যাবে।
সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, এজাহারনামী আসামী নুরউদ্দীনসহ সকল আসামী ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমার তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে।
নুসরাতে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তাতেও আসামি রয়েছে নুর উদ্দিন। নুসরাতের শরীরের আগুন দেয়ার সময় বোরখা পরিহিত ৪ জনসহ নেপথ্যের সব হোতাদের চিহ্নিত করতে নুর উদ্দিনে গ্রেফতার জরুরি বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন