সেই হিজাবি কিশোরীর পাশে কানাডার প্রধানমন্ত্রী
কানাডার টরেন্টোতে হিজাব পরার কারণে আক্রান্ত হওয়া মুসলিম শিশু খাওলা নোমানের (১১) পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডু। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার এক টুইটবার্তায় বলেছেন, খাওলার ঘটনায় আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমি খুবই মর্মাহত। খবর ডেইলি মেইলের।
শুক্রবার সকালে কানাডার টরেন্টোয় ওই মুসলিম শিশুর ওপর আক্রমণ চালায় এক দুর্বৃত্ত। সে কাচি দিয়ে শিশুটির হিজাব কেটে ফেলার চেষ্টা করে। সকাল ৯টার দিকে টরেন্টোর পূর্বে পলিন জনসন স্কুলের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় শিশুটি স্কুল থেকে ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল।
টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডা একটি উন্মুক্ত দেশ। এখানে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। খাওয়ার ওপর যে ঘটনা ঘটেছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
খাওলা নোমান জানায়, বাড়ি ফেরার সময় এক ব্যক্তি দুবার তার হিজাব কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এতে সে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যায়। হামলাকারীকে ভয় দেখানোর জন্য তার দিকে ফিরে সে চিৎকার করে, এর পর ভাইকে নিয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। পরে সে দেখতে পায় তার হিজাবের নিচ থেকে ওপরে প্রায় ১২ ইঞ্চি কাটা।
প্রথম হামলার পর নিরাপত্তার জন্য দুই ভাইবোন অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে হাঁটছিল; কিন্তু বাড়ির রাস্তা আলাদা হওয়ায় একটা সময় অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তারা। এর ১০ মিনিটের মধ্যেই হামলাকারী দুর্বৃত্ত আবার ফিরে আসে। এবারও সে শিশুটির হিজাব কাটার চেষ্টা করে। তখন নোমান চিৎকার দিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দৌড়ে আত্মরক্ষা করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, একটি বাচ্চা মেয়ের ওপর তার ধর্মের কারণে হামলার ঘটনায় আমি মুষড়ে পড়েছি। আমাদের সবার আজ এবং প্রতিদিনই এটি মনে রাখা দরকার- এমন অপকর্মের চেয়েও আমরা ভালো।
এদিকে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দেশটির আইনশৃংখলা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির মতো হবে। হামলার সময় তার কালো হুডি ও কালো প্যান্ট পরা ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন