‘সেক্স সিন বিদেশে হলে অসাধারণ, আর আমরা করলে খারাপ’
শরৎচন্দ্রের উপন্যাস অবলম্বনে সদ্য মুক্তি পেয়েছে পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘চরিত্রহীন’-এর ট্রেলার। যা রিলিজের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করেছে বিতর্কে। যদিও যৌনতা এখানে এসেছে স্বাভাবিক নিয়মে, তারপরও এই যৌনতা নিয়েই যত বিতর্ক।
মাত্র তিন দিন আগে এই ওয়েব সিরিজের স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে। আর এর মধ্যেই ছক্কা হাঁকিয়েছে গোটা টিম। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন ‘চরিত্রহীন’-এর অন্যতম অভিনেতা সৌরভ দাস।
সৌরভের কথায়, ‘চরিত্রহীন হয়ে যা নাম করলাম, চরিত্রবান থেকে এত নাম করতে পারিনি। হা হা..। গত শনি এবং রোববার ‘চরিত্রহীন’-এর জন্য রেকর্ড সাবস্ক্রিপশন হয়েছে। সেটা সোশ্যালি শেয়ারও করেছি। বেশির ভাগ মানুষ পুরোটা দেখেছেন কিন্তু।’
ট্রেলারেই ওয়েব মাধ্যমে ঝড় তুলেছিল ‘চরিত্রহীন’। এখানে যৌনতাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এই বিষয়টি নিয়েও স্পষ্টবাদী সৌরভ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এত রেকর্ড হচ্ছে, তার মধ্যেও একজন দুজন বলছেন হইচই কোনো একটি পর্ন সাইটের কম্পিটিটার হয়ে গেল। আসলে এই ধরনের সিন বিদেশে হলে সেটা অসাধারণ, আমরা করলে খারাপ, এটা ঠিক নয়।‘
সৌরভ আরও বলেন, ‘চরিত্রহীন’-এর স্ক্রিপ্টে যেটা ছিল, সেটা অনেক সময় হয়নি। মনে হয়েছে লজিক্যালি যাচ্ছে না, ও রকম সিন হবে না। আবার স্ক্রিপ্টে না থাকলেও ডিমান্ড করলে আমরা করেছি। এসথেটিক্যালি শ্যুট করা হয়েছে। আলটিমেটলি তো প্রেমের গল্প।
অবশ্য দেবালয় আগেই বলেছিলেন, ‘দিস ইজ মাই টেক অন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘চরিত্রহীন’। এত বছর ধরে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে বাংলায় তেমন কোনো কাজ হয়নি। আমার মনে হলো ওয়েবটাই সঠিক মাধ্যম, যেখানে ইন্টারপ্রেট করতে পারব। কিরণময়ী, সরোজিনী, সাবিত্রী, হারান— প্রধান চরিত্ররা সকলেই রয়েছে। এদের এই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুঁজব।’
গোটা সিরিজে সব থেকে বেশি বোল্ড সিনে অভিনয় করেছেন সৌরভ এবং নয়না গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক জড়তা থাকলেও তা কাটিয়ে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছেন দুজনই। সৌরভের স্পষ্ট দাবি, ‘আমরা সেক্স ফ্যাক্টরটা কিন্তু সেল করতে চাইনি। গল্পটা অনেক ওপরে…।’ আনন্দবাজার
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন