সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন লিটন
প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন না টাইগার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রান করে অফ স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে স্লিপে করুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন এই ব্যাটসম্যান। আর হেরাথকে ছয় মারতে গিয়ে ৯৪ রানে সাজঘরে ফিরে গেছেন লিটন দাস।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে হারিয়ে ২৮০ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন মোসাদ্দেক সৈকত। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৮০ রানে।
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটা চাপ নিয়েই পঞ্চম দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেই চাপ কাটিয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। দুইজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে গড়ে ১৮০ রানের জুটি।
এর আগে চতুর্থ দিনে ২০০ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল আর তামিমের সাবধানি সূচনাটা অনেকেরই হয়তো ভালো লেগে থাকবে। কিন্তু টেস্টে ধৈয্যের পরিচয় তো সহসা আউট হওয়ার মধ্যে নয় কিংবা বিপজ্জনক শট খেলার মধ্যেও নয়।
এই চিন্তাটা উদয় হচ্ছে না বলেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বারবার আত্মাহুতি দিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড খুব একটা ভালো নেই, সেখানে কেন বিপজ্জনক শট খেলে উইকেট হারিয়ে আসবে? ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবাল তো সে কাজই করলেন।
চট্টগ্রামের উইকেট যে পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব সেটা তো লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেই ছেড়েছেন। সেখানে তামিম আর ইমরুলের সাবধানি শুরু এবং রান করাতে অবাক করার কিছুই নেই। কিন্তু হঠাৎই ধৈয্যহারা হয়ে পড়লেন ইমরুল কায়েস। দিলরুয়ান পেরেরার বলে স্কোয়ার লেগে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ইমরুল। সেখানে দাঁড়ানো দিনেশ চান্ডিমালের হাতে অতি সহজেই তালুবন্দী হয়ে যায় বলটি। ১৯ রান করে ফিরে যান ইমরুল।
মুমিনুল হককে আরও ধৈয্যশীল এবং সাবধানি মনে হচ্ছিল তামিম ইকবালকে। এ দু’জনের জুটি চেষ্টা করছিল প্রাথমিক বিপর্যয়টা কাটিয়ে উঠতে। তবে লঙ্কান স্পিনারদের বলে বেশ সতর্কতার সঙ্গে খেলতেও হচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে, ইনিংসের ২২তম ওভারে লক্ষ্মণ সান্দাকানের অফ স্ট্যাম্পে থাকা বলটিকে পুশ করতে চেয়েছিলেন তামিম। অন্য যে কোনো স্পিনারের চেয়ে সান্দাকানের বলের গতি একটু বেশি এবং স্কিডও করে ভালো। ফলে, টাইমিংটা ঠিক মতো হলো না। ফল, ব্যাটের উপরের কানায় লেগে বল গিয়ে জমা পড়লো উইকেটরক্ষকের হাতে।
২৭তম ওভারের ৫ম বলে রঙ্গনা হেরাথের ঘূর্ণির কবলে পড়েন মুশফিকুর রহীম। হেরাথের বলটি একেবারে পুরোপুরি ডিফেন্সিভ খেলেছিলেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু ভাগ্য তার এতটাই খারাপ, বল ব্যাটে লেগে তার ক্যাডসের উপরের অংশে লেগে চলে যায় ক্রিজ ঘেঁষে সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে। আম্পায়াররা প্রথমে সন্দিহান ছিলেন আউট হয়েছে কি না তা নিয়ে। তবে, থার্ড আম্পায়ারের সহযোগিতা নেয়ার পর দেখা গেলো আউট হয়ে গেলেন মুশফিক। এরপরই দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫১৩ রান। মুমিনুল ১৭৬, মুশফিক ৯২ এবং মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে। জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে ৭১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ১৯৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস, ১৭৩ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং ১০৯ রান করেন রোশেনা সিলভা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন