সেতু ফাইলবন্দিতে, জনগণই বানালো বাঁশের সাঁকো
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের দাওরাই গ্রাম এলাকায় অবস্থিত আলুখাল নদী। এ নদীতে সেতু হলে জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগর থানা এলাকার সাথে যোগাযোগের সেতুবন্ধন হতো। সেতু না থাকায় যুগযুগ ধরে অত্র অঞ্চলের মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন।
ইতোপূর্বে এ নদীতে খেয়া নৌকা ডুবিতে স্কুল ছাত্রী নিহত সহ বেশ কিছু অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আলুখাল নদীতে সেতু নির্মাণের দাবিতে স্থানীয়রা করেছেন অনেক আন্দোলন। তাতেও কাজ হয়নি। জনগণের স্বপ্ন কোথায় ফাইলবন্দি হয়ে আছে কেউ জানেন না। তবুও এখানে সেতু হবে, এমন স্বপ্ন নিয়ে আশার প্রহর গুনছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে-গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয়দের উদ্যোগে গভীর এ নদীতে হেমন্ত মৌসুমে বাঁশের ছোট সেতু নির্মাণ করা হলেও বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারপার করেন এ অঞ্চলের মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারো গত কয়েক মাস আগে ছোট বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সেতু দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল ও পায়ে হেঁটে মানুষ পারাপার হতে পারেন। অন্য কোন যানবাহন পারাপার হতে পারে না।
সরজমিনে পথচারীরা জানান, হেমন্ত মৌসুমে বাঁশের সেতু থাকলেও বর্ষা মৌসুমে থাকে না। তখন আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হয়। তাই জন দুর্ভোগ লাঘবে আলুখাল নদীতে একটি সেতু নির্মাণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।
আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আবু ইমানী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয়দের ব্যক্তি উদ্যোগে শুধু হেমন্ত মৌসুমে আলুখাল নদীতে বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারো করা হয়েছে। তবে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার জানান, আলুখাল নদীতে সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন