সোহরাওয়ার্দীতেই জনসভা চায় বিএনপি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য আবেদন করেছি। সেখানে ৩০ সেপ্টেম্বর (রোববার) জনসভা করার অনুমতি দিলেও আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর জনসভার তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই।

শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে প্রথমে জনসভার জন্য বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর অনুমতি চায়। এরপর দুই দিন পিছিয়ে ২৯ তারিখ চাওয়া হয়। আর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৩০ তারিখের জন্য আবেদন করা হলো।

এবার নির্বাচনে না এলে নাকি নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে বিএনপি- প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, এই নূরুল হুদা কুমিল্লায় ডিসি থাকার সময় জনতার মঞ্চ তৈরি করেছিলেন এবং খালেদা জিয়ার ছবি ভাঙচুর করেছিলেন। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে মিশতে মিশতে বাকশালী সংস্কৃতির স্পর্শ পেয়ে শাসকগোষ্ঠীর মনের মানুষে পরিণত হওয়া সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তিনি একেবারেরেই খাঁটি বাকশাল মার্কা মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে’বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপিকে ভয় দেখাচ্ছেন যাতে বিএনপি শেখ হাসিনার অধীনে একতরফা বাকশালী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তার এহেন কথা শুনে মনে হয়-পাতানো নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের প্রধান আধিকারিক হিসেবে ক্ষমতাসীনদের দাসত্ব করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সিইসিকে বলে রাখি, একটি জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল অতীত অর্জন, কীর্তি, সংগ্রাম ও অঙ্গীকার রক্ষার মধ্য দিয়ে জনগণের ভেতরে যে মজবুত অবস্থান তৈরি করে, সেই দলের রেজিস্ট্রেশন থাকে জনগণের হাতে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে কাগুজে নিবন্ধনের ঝুঁকির কথা বলে লাভ হবে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন কমিশনের ‘ডার্ক ম্যাটার’উল্লেখ করে রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা সিইসি কর্তব্য বলে মনে করেন না। আওয়ামী সরকারের প্রতি আনুগত্যই তার শেষ কথা। আর এ জন্যই তিনি ভোটকেন্দ্রে বেশি সময় সাংবাদিকদের থাকতে দিতে চান না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

বিএনপির নিবন্ধন নিয়ে কোনো অশুভ প্ল্যান থাকলে অবৈধ সরকারের পাশাপাশি সিইসিকেও পতনের ঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন রিজভী।

১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপির বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৪৩টি গায়েবি মামলা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।

তিনি বলেন, এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৮৪ হাজার ১১ জন নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩০ জনকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ হাজার ২৯২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। মোট আসামি করা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭৪১ জনকে।