সোহরাওয়ার্দীতে পোপের অনুষ্ঠানে বিশাল জমায়েতের প্রস্তুতি

ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশে আসছেন ৩০ নভেম্বর বিকেলে। রোমে ফিরে যাবেন ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। দেশের জনগণের সঙ্গে সম্প্রীতি ও শান্তির বাস্তবতা উদযাপন করার জন্য সকল অনুভূতি, চিন্তা, ধ্যান ও বার্তা নিয়ে আসছেন পোপ । পোপের আগমন ও অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হয় ফাদার প্যাট্রিক শিমনের সঙ্গে। তিনি কাকরাইল চার্চের কার্ডিনালের পিএসের দায়িত্বে রয়েছেন।-খবর পরিবর্তনের।

ফাদার শিমন বুধবার দুপুরে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পোপের অনুষ্ঠানে ৭০ হাজারের বেশি ভক্ত আসবেন। এই অনুষ্ঠান ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া নিরাপত্তায় আস্থা রয়েছে তাদের। সেই সঙ্গে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকও থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।

পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকান রাষ্ট্রের প্রধান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবার নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে তৃতীয় পোপের আগমন ঘটছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৬ সালের ১৯ নভেম্বর পোপ দ্বিতীয় জন পল বাংলাদেশে এসেছিলেন। এর আগে ১৯৭০ সালে ২৭ নভেম্বর পোপ ষষ্ঠ পল বাংলাদেশে এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি নিয়েছিলেন।

পোপের আগমনের বিষয়ে ফাদার শিমন বলেন, একজন রাষ্ট্র প্রধান ও একজন ধর্মীয় পালক হিসেবে তিনি আসবেন। ব্যবসা-বাণিজ্য নেই এই সফরে। তবে সম্পর্কের দিক বিবেচনা হবে।

তিনি জানান, ভ্যাটিকান রাষ্ট্র বিশ্বের অনেক দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। এই দিকটা বিবেচনায় আসতে পারে।

এদিকে পোপের বাংলাদেশ সফর ঘিরে কাকরাইল চার্চে চলছে মঞ্চ বানানো থেকে শুরু করে বাগান সাজানো, গেইট সাজানো ও দেয়ালে রঙের কাজ।

(বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন পোপ। এরপর বিকেল ৪টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও কূটনৈতিক মহলের সাথে বৈঠক করবেন।

১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পোপ বক্তব্য রাখবেন। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ভ্যাটিকান দূতাবাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

২ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টার দিকে তেজগাঁও মাদার তেরেসা ভবনে ব্যক্তিগত পরিদর্শন করবেন। বিকেল ৩টায় নটর ডেম কলেজে যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখেবেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যা ৫টার দিকে রোমের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।