জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন,” আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ব্যাবসায়ী সোহাগ হত্যাকান্ডের পিছনে মঈন জড়িত। আমরা মঈনের সাথে এনসিপির দুইজন নেতার ছবি দেখতে পাই। তাহলে আমরা মনে করতে পারিনা, পরিকল্পিতভাবেই হত্যাকান্ড গঠিয়ে বিএনপির উপর দায় চাপানো হয়েছে। ”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবির উপর পদাঘাতের ভিডিওর প্রদর্শন হয়। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সোমবার (১৪জুলাই) সকালে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে রেলি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহাসচিব বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যদি দেশ স্বাধীন করার পরবর্তীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করতেন, তাহলে আজকে যারা এমনটি করছেন তারা রাজনীতি করার সুযোগ পেতেন? কাজেই বলা যায়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আপনাদেরকে এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আজ তাকেই আপনারা অপমান করছেন! আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ধৈর্য ধরেছি, তবে আমরা দুর্বল নই। আমরা মাঠে নামলে আপনাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে না। আপনারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হলে স্বনামে আসেন, সাধারণ ছাত্রদের নামে কেন আসেন?

তিনি আরো বলেন, “আপনাদের প্রচারণা যদি নিরপেক্ষ হয়, আমাদের কোনো কথা থাকে না। যদি খুলনার মারুফ হত্যা কে সামনে আনতেন, খুলনায় মারুফকে হত্যা করে তার হত্যা নিশ্চিত করার জন্য পাঁয়ের রগ কাটা হয়। আমরা জানি, কারা রগ কাটার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। আপনারা এক পেশী প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছেন। আপনাদের উদ্দেশ্য নির্বাচনকে বিলম্বিত করা এবং স্বৈরশাসক যাতে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে তা নিশ্চিত করা এবং আপনারা সেই পথে হাঁটছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদদের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, সংগঠনটির ইবি শাখা সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামানসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।