সৌদিতে একই স্কুলের চার নারীকে বিয়ে
সৌদি আরবে বহুবিবাহ আইনত বৈধ। সক্ষম কোনো পুরুষ যদি সমানভাবে তার সব স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দিতে পারেন তবে সে একের অধিক বিয়ে করার যোগ্যতা রাখেন। আর তাই দেশটিতে বহুবিবাহের ঘটনা অহরহই ঘটছে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা ঘটেছে যা বেশ আশ্চর্য হওয়ার মতোই। ৫০ বছর বয়সী এক সৌদি পুরুষ একই স্কুলের ছাত্রী, শিক্ষিকা, তত্ত্বাবধায়ক এবং অধ্যক্ষকে বিয়ে করেছেন।
সৌদি আরবের দৈনিক ওকাজকে ওই চার স্ত্রীর মধ্যে যিনি শিক্ষকা তিনি জানান, এটা খুব অদ্ভূত এবং ব্যতিক্রমী ঘটনা। আমরা মাঝে মধ্যে এটা নিয়ে কথা বলি এবং স্কুলের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ বিষয়ে আলোচনা করে বেশ মজা পায়।
তিনি আরো বলেন, তাদের মধ্যে যে স্ত্রী অধ্যক্ষ তিনি বাকি স্ত্রীদের চেয়ে বয়সে বড় এবং ক্ষমতা বেশি থাকা সত্ত্বেও কোনো বিশেষ সুবিধা নেন না। এছাড়াও তিনি যখন স্কুল পরিদর্শনে যান তখন তাদের ওপর কোনো কর্তৃত্বও খাটান না। ওই ব্যক্তির চার স্ত্রীর সবাই সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিজানের একটি স্কুলের।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ ওই নারী তার স্বামীর অন্য স্ত্রীদের সঙ্গে স্কুলের অন্যসব কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীর মতো সাদামাটা আচরণই করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিয়ে নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন। ওই মন্তব্যগুলোতে বলা হয় তাদের এই বয়সের তারতম্য সামাজিকভাবে ভুল।
একজন বেশ আশ্চর্য হয়ে বলেন, তিনি কি এই ঘটনার সঙ্গে মানসিক, শারীরিক এবং অন্যসব চাপ সামাল দিয়ে তার বাচ্চাদের লালন-পালন করতে পারবেন, নাকি ওই শিশুদেরকে পথশিশু হওয়ার দিকে ঠেলে দিবেন।
আরেকটি মন্তব্যে ওই ব্যক্তিকে একটা নতুন স্কুল শুরু করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও আর এক মন্তব্যকারী বলেন, তারও ওই স্কুলের একটা দায়িত্ব নেয়া উচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন